আজ ২৬ মে’১৬ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ইসলাম বিরোধী শিক্ষানীতি ২০১০, প্রস্তাবিত শিক্ষা আইন ২০১৬ এবং বিতর্কিত পাঠ্যসূচি সংশোধনসহ পাঁচদফা দাবীতে ‘সর্বদলীয় ইসলামী ছাত্র ঐক্য’-এর আয়োজনে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সর্বদলীয় ইসলামী ছাত্র ঐক্যের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ইসলামী ছাত্র খেলাফতের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ খোরশেদ আলম-এর সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ আবদুর রহীম সাঈদ-এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সর্বদলীয় ইসলামী ছাত্র ঐক্য-এর মুখপাত্র ও ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন খান, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল ইসলাম আল-আমীন, বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়া-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ হারুনুর রশীদ, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসউদ খান, বাংলাদেশ জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়া-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ আব্দুল কাদীর এবং বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি হাফেজ মুহাম্মদ আল-আমীন।
নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বলেন, মুসলিম সন্তানরা তাদের ধর্মীয় ভাবাদর্শের তৈরি সিলেবাস পড়বে এটাই স্বাভাবিক। যুগ যুগ ধরে আমাদের সিলেবাসে এদেশের মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতিফলন ঘটেছে। সেই সিলেবাস পড়ে তৈরি হওয়া দক্ষ জনগোষ্ঠীর মাধ্যমে তারা আমাদের দেশে হাজারো রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক বাঁধা সত্ত্বে দেশ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। কোথাও সমস্যা হচ্ছে না। তারপরেও সিলেবাসে এই পরিবর্তন কেন? কেন মুসলমানদের পাঠ্যসূচি থেকে তাদের প্রাণের স্পন্ধন মুহাম্মদ সা.-এর জীবনী বাদ দেয়া হবে? কেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম ধর্মীয় রাজনৈতিক নেতা হযরত আবু বকর ও ওমর রা.-এর জীবনী বাদ দেয়া হবে? কেন মুসলমানদের সিলেবাসে হিন্দু ও নাস্তিক লেখকদের লেখা সয়লাব ঘটাতে হবে? আমরা মনে করি মুসলমানদের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক স্বকীয়তা ভুলিয়ে দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। এই সিলেবাস মুসলমান সন্তানেরা পড়বে না।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বাংলাদেশের সকল মুসলমান এই ইস্যুতে এক কাতারে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ। আমরা সরকারকে শান্ত আহবানের ভাষায় বলতে চাই যে, দয়া করে জনতার মনের ভাষা বুঝতে চেষ্টা করুন, তাদের অনুভূতিকে সম্মান করুন। বর্তমান সিলেবাসে বিদ্যমান হিন্দু ও নাস্তিক লেখকদের লেখা ইসলামী বিরোধ আবর্জনাকে বাদ দিন। ইসলামী শিক্ষার প্রতিফলন ঘটান।
নেতৃবৃন্দ হুঁশিয়ার করে বলেন, এদেশের মানুষ তাদের প্রাণের দাবীসমূহ কীভাবে আদায় করতে হয় তা জানে। বায়ান্ন আর একাত্তরে বিশ্ববাসী তা দেখেছে। আমাদেরকে মাঠে নামতে বাধ্য করবেন না। অনতিবিলম্বে শিক্ষানীতি, শিক্ষা আইন ও বিতর্কিত পাঠ্যসূচি সংশোধন করুন। অন্যথায় ছাত্র-জনতা তাদের রক্তের শেষ বিন্দু দিয়ে হলেও পাঠ্যসূচিতে ইসলামের প্রতিফলন ঘটাবেই, ইনশাআল্লাহ।
মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন সর্বদলীয় ইসলামী ছাত্র ঐক্য-এর প্রধান সমš^য়কারী ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর সেক্রেটারি জেনারেল শেখ ফজলুল করীম মারুফ, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ-এর সেক্রেটারি মুহাম্মদ ওমর ফারুক, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস-এর সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ আব্দুর রহীম সাঈদ, ইসলামী ছাত্র খেলাফত বাংলাদেশ-এর সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ আবুল হাশিম, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজ-এর মহাসচিব মুহাম্মদ নূরুজ্জামান, বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়া-এর অর্থ সম্পাদক রেদওয়ান আহমদ চৌধুরী, বাংলাদেশ জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়া-এর প্রধান সম্পাদক মুহাম্মদ আব্দুর রহমান ও বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র আন্দোলন-এর সাধারণ সম্পাদক হাফেজ নেয়ামতুল্লাহ সহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।