গত ২৮ অক্টোবর রোজ শুক্রবার সকাল ৯টায় খানপুর, গাওছিয়া, সোনারগাঁও এবং আড়াইহাজার জোনে স্থানীয় মিলনায়তনে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে জেলা শাখার সংগ্রামী সভাপতি মু. ওমর ফারুক এর সভাপতিত্বে ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মু. ফারুক হোসেন এর সঞ্চালনায় প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষা কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় কমিটির মুহতারাম মাদরাসা বিষয়ক সম্পাদক নূরুলকরীম আকরাম।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, জাতি আজ দিশে হারা। চারদিকে আজ শুধুই অন্ধকার। কোথাও একটু নিরাপদে আশ্রয় নেয়া যায় তার জন্য ব্যাকুল। কিন্তু আসল ঠিকানায় কেউই যায় না। তিনি বলেন, সকল প্রকার অন্ধকার ও হতাশা থেকে একমাত্র ইসলামই মুক্তি দিতে পারে। তার উজ্জ্বল প্রমাণ হলো রাসূল (সা.) এর মদিনার রাষ্ট্র। যা পূর্বে ছিলো ইয়াসরেব নামে পরিচিত। তিনি তার আদর্শের মাধ্যমে কুরআনের আইন দ্বারা পরিবর্তন করে তার নাম ইতিহাসের পাতায় লিখান মদিনা।
ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন ঘুনেধরা এ সমাজকে পরিবর্তনের জন্য রাসূল (সা) এর আদর্শের দিকেই আহবান করে। এটাই ইশা ছাত্র আন্দোলন এর মূল লক্ষ্য। তিনি আরো বলেন, নির্বিচারে মানুষ হত্যা, দিনের বেলা কুপিয়ে মানুষকে যখম করা, গুম ও ধর্ষনসহ সকল প্রকার অপরাধের একমাত্র কারণ হলো দেশে ইসলামী আইন ও ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু না থাকা। তাই তিনি সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এখনো সময় আছে স্বাধীন বাংলাদেশে কোরআনের আইন ও ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করুন। যাতে এ জাতি মুক্তি পেতে পারে।
সভাপতি তার উদ্ভধনী বক্তব্যে বলেন, সমাজের বর্তমান দূরাবস্থার কারণ হলো ছাত্রসমাজের মাঝে ইসলাম ও রাসূল (সা.) এর আদর্শ না থাকা। রাসূল (সা.) এর আদর্শই দিতে পারে একমাত্র মুক্তির ঠিকানা। তিনি আরো বলেন, ইসলাম পূর্ব জাহিলি যুগে মানুষ যে অপরাধ করে নাই তা এখন এ সমাজে হচ্ছে। জাহেলি যুগকেও হার মানাচ্ছে বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা। তাই তিনি ইশা ছাত্র আন্দোলন এর সকল সদস্য ও কর্মীকে রাসূল (সা.) এর আদর্শ সমাজে প্রতিষ্ঠা করার আহবান জানান।
উক্ত শিক্ষা কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন, মু. মামুনুর রশিদ, মু. ইমদাদুল হক, মু. শিব্বির আহমাদ, মু. ফারুক হোসেন, মু. আব্দুর রশিদ, মু. শফিকুল ইসলাম, মু. নাসিরউদ্দিন, আবদুল্লাহ হাসান, মু. মহিউদ্দিন, মু. আল-আমিন, খন্দকার মু. জাকারিয়া, মু. তাজউদ্দীন, মু. সারোয়ার হোসাইন, মু. আশরাফ আলী প্রমুখ।