পর্দা নারীর রক্ষাকবচ ও আত্মপরিচয়ের হাতিয়ার। কিন্তু স্বাধীন দেশের উচ্চশিক্ষার আঁতুড়ঘর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পোশাকের মৌলিক অধিকার হরণ করায় আমাদের বোনদেররা বারবার হেনস্থার শিকার হচ্ছে। ইদানিং কতিপয় শিক্ষকও এই স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে যা নারীশিক্ষার জন্য হুমকি ও অশনিসংকেত। আজ ২৯ আগষ্ট’২৩ মঙ্গলবার এক যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা বলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক খাইরুল আহসান মারজান।
নেতৃদ্বয় বলেন, সম্প্রতি পর্দা পালনকারী মেয়ে শিক্ষার্থীদেরকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআর ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক ওয়াহিদুজ্জামান চাঁন বারংবার হেনস্থার মুখে ফেলেছেন। শুধু এখানেই ক্ষ্যান্ত না থেকে হিজাব পরিধান করায় হেনস্থার শিকার হওয়া শিক্ষার্থীকে উগ্রবাদী দলের সদস্য বলে মন্তব্য করে ভিক্টিম ব্লেমিংয়ের অপরাধ ও করেছেন তিনি। তার এই অমূলক মন্তব্যের জন্য অবিলম্বে তাকে ক্ষমা চাইতে হবে।
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, মেয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে ঢাবির এই শিক্ষক দাবী করেন যে “তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে না এসে বাসায় লেখাপড়া করা উচিৎ।” বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সাথে পর্দা পালন করার কোন সাংঘর্ষিকতা নেই। শিক্ষাকে কখনোই কোন জাত, বর্ণ কিংবা পোশাকের সীমাবদ্ধতায় আবদ্ধ করার সুযোগ নেই। এবং এই ইস্যুকে মূখ্য করে একজন শিক্ষার্থীকে শিক্ষার অধিকার ও সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা শিক্ষকসূলভ আচরণ হতে পারে না। এই মন্তব্য চরমভাবে নারী শিক্ষা বিরোধী। তার মন্তব্য সম্পূর্ণই ইসলাম বিদ্বেষপ্রসূত ও ইসলামী সংস্কৃতি বিদ্বেষের বহিঃপ্রকাশ।
নেতৃদ্বয় নারী শিক্ষা বিরোধী শিক্ষকদের এহেন আচরণের প্রতিবাদ জানানোর সাথে সাথে নারী শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠু ও নিরাপদ শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিতের জোর দাবী জানান। অন্যথায় নেতৃবৃন্দ দাবি আদায়ে জোরালো আন্দোলনের হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।