দেশজুড়ে যেন নেমে এসেছে এক অন্ধকার। আজ পিতামাতার হাতেও সন্তানের জীবন নিরাপদ নয়। এর জন্য দায়ী বর্তমান কুফরী সমাজব্যবস্থা ও সেক্যুলার শিক্ষানীতি। সর্বস্তরে ইসলামী আদর্শ ও ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থার প্রবর্তন ছাড়া এই অবক্ষয় রোধ করা সম্ভব নয়। গত ৩ মার্চ’১৬, বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে শিশু হত্যা ও শিশু-নির্যাতনের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেস ক্লাবে “জাতীয় শিশু-কিশোর পত্রিকা মাসিক নকীব” কর্তৃক আয়োজিত বিশাল মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ উপরোক্ত কথা বলেন।
মাবনবন্ধনে নকীবের সম্পাদক শেখ ফজলুল করীম মারুফ বলেন, আমরা আজ মর্মাহত, ব্যথিত। প্রশ্ন জাগে এই নির্মমতার শেষ কোথায়? প্রতিনিয়ত মানবাধিকার লঙ্ঘিত এ সমাজব্যবস্থায় এমন ঘটনা ঘটা খুব স্বাভাবিক। কেননা পশ্চিমা আকাশ সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষক বর্তমান আওয়ামী সরকার। হাজারো অশ্লীলতার অরণ্যে আজ এদেশের সংস্কৃতি কলুষিত। সমাজের সকল বেহায়াপনা ও অশ্লীলতাকে আজ আধুনিকতার সার্টিফিকেট দেয়া হচ্ছে। বর্তমান সরকার জালিম সরকার। এই সরকার দূর্বল মজলুম মানুষের উপর জুলুম নির্যাতন করে এই দেশ থেকে শান্তি শৃংখলাকে বিতাড়িত করেছে। যার প্রভাব সমাজের মানুষের উপর পড়েছে। অপরাধ প্রবণতা প্রতিনিয়ত মাথাছাড়া দিয়ে উঠছে।
মানববন্ধনের সভাপতি নকীবের নির্বাহী সম্পাদক মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম বলেন, শিশুদের জন্য আমরা কাজ করি। কিন্তু এখন দেখি না, শিশু নয়; কাজ করতে হবে বড়দের জন্য। একজন মা কীভাবে তার সন্তানকে হত্যা করতে পারে তা বুঝে আসে না। নারীদের পর্দাহীনতা, ইসলামী অনুশাসন না থাকায় আজ ঘর ভাঙার আওয়াজ উঠেছে। এর থেকে আমরা পরিত্রাণ চাই। আমাদের শিশুদের রক্ষা করতে হবে। তাদেরকে সুরক্ষিত রেখেই আমাদেরকে আগামীর সমাজ বিনির্মানের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। সাথে সাথে সুন্দর পৃথিবী গড়তে ইসলামী নীতি-আদর্শ সর্বস্তরে প্রয়োগে মনোনিবেশ করতে হবে।
উক্ত মানববন্ধনে নকীবের সহযোগি সম্পাদক বিশিষ্ট সাহিত্যিক জিয়াউল আশরাফের সঞ্চালনায় সমাজের বিভিন্ন স্তরের নাগরিকদের ব্যথিত হৃদয়ের উপস্থিতি ছিল লক্ষ করার মতো।