শিক্ষামন্ত্রী বরাবর ইশা ছাত্র আন্দোলন-এর স্মারকলিপি পেশ
বিতর্কিত শিক্ষানীতি ও শিক্ষা আইন ২০১৬ সংশোধন না হলে কঠোর আন্দোলন
-ইশা ছাত্র আন্দোলন
আজ ৫ মে’১৬, বৃহস্পতিবার ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল ইসলাম আল-আমীন এর নেতৃত্বে “বিতর্কিত শিক্ষানীতি ২০১০ বাতিল ও শিক্ষাআইন ২০১৬ সংশোধন” এবং পাঠ্যপুস্তকে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগোষ্ঠীর চেতনা ও মূল্যবোধ বিরোধী বিষয়বস্তু প্রত্যাহারের দাবীতে শিক্ষামন্ত্রী বরাবর “স্মারকলিপি” প্রদান করা হয়। দুপুর ২টায় সংগঠনের নেতা-কর্মীরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশে অংশ্রগহণ করে। সমাবেশ শেষে কেন্দ্রীয় সভাপতির নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল শিক্ষামন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
সমাবেশে কেন্দ্রীয় সভাপতি বলেন, এদেশের ৯০ ভাগ মানুষ মুসলমান। স্বাভাবিকভাবেেই মুসলমানদের চিন্তা-চেতনা ও দৃষ্টিভঙ্গির ওপর ভিত্তি করেই জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন হওয়াটাই যুক্তিযুক্ত। কিন্তু আমরা দুঃখের সাথে লক্ষ্য করছি ধর্ম, আদর্শ ও নৈতিকতা এবং জাতীয় ঐতিহ্যকে পাশ কাটিয়ে শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। সেজন্যই শিক্ষা কারিকুলামে ইসলামকে উচ্ছেদ করার প্রবণতা আমরা লক্ষ্য করছি। সেই শিক্ষানীতি কার্যকর করার জন্য এখন শিক্ষা আইন করা হচ্ছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলছি- এই বিতর্কিত শিক্ষানীতি ও শিক্ষা আইন ২০১৬ সংশোধন না হলে দেশব্যাপী কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে, ইনশাআল্লাহ।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি জি.এম রুহুল আমীন, সেক্রেটারি জেনারেল শেখ ফজলুল করীম মারুফ, জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল মুহা. আজিজুল হক, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহা. হাছিবুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক শেখ মুহা. সাইফুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় তথ্য-গবেষণা ও প্রচার সম্পাদক আ হ ম আলাউদ্দীন সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, বিতর্কিত শিক্ষানীতি ২০১০ এবং শিক্ষা আইন ২০১৬ সংশোধনের দাবিতে ইশা ছাত্র আন্দোলন-এর ঘোষিত কর্মসূচি-
১. সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণের সাথে “শিক্ষা আইন ২০১৬” নিয়ে মতবিনিময়।
২. শিক্ষা আইন ২০১৬ নিয়ে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের কাছে খোলা চিঠি প্রদান।
৩. শিক্ষা আইন ২০১৬ সম্পর্কে দেশব্যাপী সচেতনতামূলক প্রচারপত্র বিলি।
৪. ১৯ মে শিক্ষা আইন ২০১৬ সংশোধনের দাবীতে দেশব্যাপী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে মানববন্ধন।