সংবাদ/বিবৃতি

The superiority of Muslims remain in” establishing truth and resisting against injustice”. It is a holy duty for a Muslim to do this work with his/her level best . Especially, students are perfect soldiers for this work. That is why, students are active and effective manpower of a country and a nation.
“সংকটে ‘সাম্প্রদায়িক’ সম্প্রীতি : নেপথ্যে ক্ষমতার রাজনীতি” শীর্ষক পাবলিক লেকচার-এ বাংলাদেশ মুসলিম লীগ এর স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য জনাব আতিকুল ইসলাম বলেন, এ দেশে সাম্প্রদায়িকতার সূচনা করে পারস্য থেকে আসা আর্যরা। আর্যরা এদেশের মানুষের মাঝে আইনের বিভেদরেখা দিয়ে মানুষকে বিভক্ত করে শাসন পরিচালনা করতো। অথচ পাক ভারত উপমহাদেশে সুদীর্ঘকাল ধরে বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, ভাষা ও সংস্কৃতির মানুষ সৌহার্দ্য- সম্প্রীতির মাধ্যমে বসবাস করে আসছে। শুধু তাই নয়, ভারত উপমহাদেশেকে প্রায় দীর্ঘ ছয় শতাব্দী ধরে মুসলমানগণ শাসন করেছে। তখন মুসলমানদের সংখ্যা ছিল মাত্র সাত শতাংশেরও কম, বাকী সবাই ছিলেন অন্য ধর্মাবলম্বী। কিন্তু সেখানে সকল সম্প্রদায়ের মানুষেরা পারস্পরিক সুসম্পর্কের মাধ্যমে যুগ যুগ ধরে একত্রে মিলেমিশে বসবাস করেছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হয়; এমন কোনো ঘটনা যাতে না ঘটে এ জন্য সকলেই ছিলো বদ্ধপরিকর। এমনকি রাষ্ট্রের অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় অমুসলিমদের হাতে অর্পণ করেছিলেন মুসলিম শাসকগণ।
গতকাল ২২ নভেম্বর ২০২০ইং রবিবার বিকাল ০৩ টায় পুরানা পল্টনস্থ ফটো জার্নালিস্ট মিলনায়তনে চিন্তাঙ্গন-এর উদ্যোগে চিন্তাঙ্গন পরিচালক ইউসুফ আহমাদ মানসুর এর সভাপতিত্বে এবং এম এম শোয়াইব এর সঞ্চালনায় পাবলিক লেকচার-এ বিশেষ আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট কলামিস্ট ও রাজনীতি বিশ্লেষক জনাব গৌতম দাস, চিন্তাঙ্গন এর উপদেষ্টা এম হাছিবুল ইসলাম এবং বিশিষ্ট কলামিস্ট ও সম্পাদক মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক।
কলামিস্ট ও রাজনীতি বিশ্লেষক জনাব গৌতম দাস বলেন,২য় বিশ্ব যুদ্ধোত্তর পরিবর্তিত বিশ্বব্যবস্থায় এখন বৈশ্বিক ক্ষমতার মেরুকরণ চলছে । এমন প্রেক্ষাপটে দেশের অভ্যন্তরে যেন অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি না হয় এজন্য আমাদের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। বর্তমানে আমরা লক্ষ্য করছি একশ্রেণির রাজনৈতিক স্বার্থান্ধরা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য বিভিন্ন সম্প্রদায়ের উপর হামলা করে আমাদের হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহাসিক বন্ধনে ফাটল ধরাতে চায়। বাংলাদেশ-এর ভৌগোলিক বাস্তবতায় আমরা লক্ষ্য করেছি, এসবের পেছনে কখনো কখনো ইন্ধন যোগায় অভ্যন্তরীণ ও পার্শ্ববর্তী দেশের নোংরা রাজনৈতিক স্বার্থ। ফলে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে হঠাৎ অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সকল সম্প্রদায়ের মানুষকে চোখ-কান খোলা রেখে এসব ধুরন্ধর অপরাজনীতিবিদদের চিহ্নিত করতে হবে। এবং কারো উস্কানিতে বিভ্রান্ত না হয়ে সত্যাসত্য যাচাইয়ের মাধ্যমে আমাদের হাজার বছরের মেলবন্ধনকে অটুট রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে।
পাবলিক লেকচার-এ আরো উপস্থিত ছিলেন চিন্তাঙ্গন এর উপদেষ্টা নূরুল করীম আকরাম, একেএম আব্দুজ্জাহের আরেফী, শেখ মুহাম্মাদ আল আমিন, শরীফুল ইসলাম রিয়াদ, গাজী মুহাম্মদ উসমান গণী, মুহাম্মদ ইবরাহীম হোসাইন, নূরুল বশর আজীজী, এম হাসিব গোলদার, সিরাজুল ইসলাম, মুনতাছির আহমদ প্রমুখ।

সম্পর্কিত কার্যক্রম

সম্পর্কিত কার্যক্রম

সদস্য ফরম

নিচে তথ্যগুলো দিয়ে পাঠিয়ে দিন