প্রধান অতিথি বলেন, ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের নাগপুরে কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দলের নেতৃত্বে মুসলমানদের উপর যে ভয়াবহ হামলা চালানো হয়েছে তা নিয়ে বাংলাদেশের মুসলমানরা ক্ষুব্ধ। মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের সমাধি সরানোর দাবিতে শুরু হওয়া এই উত্তেজনার জেরে মুসলিমদের আবাসন ও সম্পত্তির উপর পরিকল্পিত হামলা চালানো হয়েছে। হামলাকারীরা আওরঙ্গজেবের সমাধিতে আগুন লাগিয়ে দেয়। এর ফলে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে, মুসলমানদের বাড়িঘর ও গাড়িতে আগুন দেওয়া হয় এবং অনেকেই আহত হন। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং অনতিবিলম্বে হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য মোদি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, জাতিসংঘ ও পশ্চিমা বিশ্ব যেখানে মুসলমানদের উপর নির্যাতন রোধে ব্যর্থ, সেখানে ২০০ কোটি মুসলমানের স্বার্থ রক্ষার জন্য পৃথক ‘মুসলিম জাতিসংঘ’ গঠন এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। মুসলিম দেশগুলোর বিশাল অর্থনৈতিক, সামরিক ও কৌশলগত শক্তি থাকা সত্ত্বেও তারা আজ বিভক্ত থাকার কারণেই দুর্বল। মুসলমানদের ওপর অব্যাহত হত্যাযজ্ঞ ও নিপীড়নের পরিণতি যদি বিশ্ব সম্প্রদায় উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে মুসলিম উম্মাহ নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় মুসলিম জাতিসংঘ গড়ে তুলতে হবে।
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় সভাপতি ইউসুফ আহমাদ মানসুর বলেন, পবিত্র মাহে রমজানে মুসলমানদের ওপর এই বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা মনে করি, এটি ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলোর পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র, যার মাধ্যমে দেশটিতে মুসলমানদের আতঙ্কিত করা এবং তাদের ধর্মীয় চেতনাকে অপমান করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, মুসলিম বিশ্বের দায়িত্ব এখন নিজেদের স্বার্থপরতা ও নির্লিপ্ততা ঝেড়ে ফেলে অবিলম্বে মুসলিম নিপীড়নের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং মুসলিম বিশ্বের জন্য স্বতন্ত্র শক্তিশালী সংগঠন গঠনের উদ্যোগ নেয়া।
এসময় বন্ধু-প্রতিম ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল-এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এইচ এম আবু জাফর, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি রায়হান আলী, বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল আজিজ, ছাত্র জমিয়ত-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি খালেদ মাহমুদ, বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি হাফেজ জাকির বিল্লাহ, জাপাগা ছাত্রলীগ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল রহমান ফারুকী, ছাত্র মিশন-এর সভাপতি সৈয়দ মিলন, রাষ্ট সংস্কার ছাত্র আন্দোলন সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি আহমেদ ইসহাক, ভাষানী ছাত্র পরিষদ-এর কেন্দ্রীয় আহবায়ক মোশাররফ হোসেন, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক ছাত্র আন্দোলন এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্র ফোরাম-এর কেন্দ্রীয় আহবায়ক সদস্য জহিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষ-এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহবায়ক আকিব হাসান, জেএসডি ছাত্রলীগ সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম ফারুক সরকার, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজ-এর মহাসচিব বি এম আমির জিহাদী, ছাত্র অধিকার পরিষদ সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নেওয়াজ খান বাপ্পি, ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সদস্য আরমানুল হক, আমজনতার দল-এর ছাত্র প্রতিনিধি মুহাম্মাদ ফয়সাল খান প্রান্ত।
আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মুনতাছির আহমাদ, জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মাদ মিশকাতুল ইসলাম, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল ইমরান হুসাইন নূর, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল খায়রুল আহসান মারজান, সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, প্রশিক্ষণ সম্পাদক হোসাইন ইবনে সরোয়ার, কেন্দ্রীয় তথ্য গবেষণা ও প্রযুক্তি সম্পাদক ফয়জুল ইসলাম,দাওয়াহ ও দফতর সম্পাদক মুহাম্মাদ ইবরাহীম খলিল, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক মুহাম্মাদ আশিকুল ইসলাম, অর্থ ও কল্যান সম্পাদক এস এম কামরুল ইসলাম, প্রকাশনা সম্পাদক মাইমুন ইসলাম, যোগাযোগ ও মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক ইউসুফ পিয়াস, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক উবায়দুল্লাহ মাহমুদ, কওমি মাদরাসা সম্পাদক শেখ মুহাম্মাদ ইমাম মাহদী, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক আরিফুল ইসলাম খান লিখন, আলিয়া মাদরাসা সম্পাদক রশীদ আহমাদ রায়হান, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক আবদুল আজিজ নোমান, কার্যনির্বাহী সদস্য এম ইব্রাহীম নাসরুল্লাহ, কার্যনির্বাহী সদস্য সাইফ মুহাম্মদ আলাউদ্দিন কেন্দ্রীয় শুরা, ঢাকাস্থ ক্যাম্পাস ও ঢাকা মহানগর নেতৃবৃন্দ।