সংবাদ/বিবৃতি

হিজরি সনের মত বাংলা বর্ষপঞ্জিও মুসলমানদের অনবদ্য আবিস্কার। বঙ্গ অঞ্চলে যে সনের দিনপঞ্জিকা অনুসারে এখনো হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে সবার দৈনন্দিন জীবনযাত্রার প্রয়োজনীয় সব আয়োজন সম্পন্ন হয়। এখনো দেশের সকল সরকারি ভূমি কার্যালয়ের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালিত হয় বাংলা বর্ষপঞ্জিকে ভিত্তি করে।

দ্বাদশ থেকে অষ্টাদশ শতক পর্যন্ত মুসলিম শাসনামলে ভারতীয় উপমহাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে হিজরি সন অনুসরণ করা হতো। আর হিজরি বছরকে বলা হতো চন্দ্র বছর। কিন্তু ভারতীয় বেশিরভাগ কৃষক তাদের যাবতীয় গণনা সৌর বছর অনুযায়ী করতো।মুঘল সম্রাট আকবরের শাসনামলে খাজনা আদায় এবং স্থানীয় কৃষকদের ফসল তোলার সময় নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। সম্রাট আকবর জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফতেহ উল্লাহ সিরাজীকে চন্দ্র বর্ষপঞ্জি (হিজরি) এবং সৌর বর্ষপঞ্জির সমন্বয়ে করে নতুন বর্ষপঞ্জি তৈরি করতে বলেন। তিনি হিজরি বর্ষকে সামনে রেখে বর্ষ গণনা করেন এবং ৩৫৪ দিনের স্থলে ৩৬৫ দিনে এনে একটি নতুন সন উদ্ভাবন করেন।সম্রাট আকবরের সিংহাসনে আরোহনের বছর হিজরি সনের মুহাররম মাসকে বাংলা বৈশাখ মাস ধরে বাংলা বর্ষ গণনা শুরু করা হয়।

হিজরি সনের মত বাংলা বর্ষপঞ্জিও মুসলমানদের অনবদ্য আবিস্কার। বঙ্গ অঞ্চলে যে সনের দিনপঞ্জিকা অনুসারে এখনো হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে সবার দৈনন্দিন জীবনযাত্রার প্রয়োজনীয় সব আয়োজন সম্পন্ন হয়। এখনো দেশের সকল সরকারি ভূমি কার্যালয়ের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালিত হয় বাংলা বর্ষপঞ্জিকে ভিত্তি করে। ব্যবসায়ীগণ এই বাংলা সনের উপর ভিত্তি করেই তাদের ব্যবসার হিসাব-নিকাশ করে বছরান্তে হালখাতা করেন।বিশেষ করে পূজা-পার্বণসহ হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানের একমাত্র অবলম্বন এই বাংলা পঞ্জিকা। বর্তমান বাঙালি সমাজেও ফসল তোলা, কেনা-বেচার আয়োজন এই বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী হয়ে থাকে।বলা চলে, ভারত উপমহাদেশে মুসলিম শাসনামলে আবিষ্কৃত এই বাংলা বর্ষপঞ্জি এখনও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক।

সম্পর্কিত কার্যক্রম

সম্পর্কিত কার্যক্রম

সদস্য ফরম

নিচে তথ্যগুলো দিয়ে পাঠিয়ে দিন