গত ১২ জানুয়ারি’১৬ মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে বি-বাড়িয়ায় মসজিদ-মাদরাসা বন্ধ করা, প্রতিবাদী ছাত্র-জনতার ওপর পুলিশ-আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা এবং রাজধানীর বাড্ডায় নিমতলী মন্দিরে পবিত্র কোরআন শরীফ পোড়ানোর মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক উস্কানি প্রদানের প্রতিবাদে রাজধানীর হাউজ বিল্ডিং চত্ত্বর থেকে এইচ এম কাওসার আহমাদ-এর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি ছাত্র নেতা নূরুল ইসলাম আল-আমীন বলেন, সরকার আজ আগুন নিয়ে খেলা শুরু করেছে। বাংলার মানুষ ধর্মভীরু, আর যদি এই ধর্মীয় অনুশাসনের ওপর কোন হস্তক্ষেপ করা হয় তাহলে ঈমানদার জনতা বসে থাকবেনা। ছাত্র-জনতা মসজিদ-মাদরাসায় হামলার প্রতিবাদ করলে তাদের ওপর আওয়ামী লালিত সন্ত্রাসী ও পুলিশের পেটুয়া বাহিনীর গুলিতে হাফেজ মাসুদুর রহমান শহীদ হয়েছে। কেন্দ্রীয় সভাপতি সরকারকে হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, অনতিবিলম্বে এই সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও নিহতের ক্ষতিপূরণ এবং সমজিদ-মাদরাসা খুলে দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, গতকাল বাড্ডার নিমতলী মন্দিরে কুরআন পোড়ানো হয়েছে। আমরা মনে করি কোরআন শরীফ পোড়ানো আর মসজিদ-মাদরাসায় হামলা একই সূত্রে গাঁথা। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িতক সম্প্রীতির দেশ। এদেশের শান্তি-সম্প্রীতি যারা ধুলিষ্যাৎ করতে চায় তাদের ঠাই বাংলার জমীনে হবে না। বি-বাড়িয়ায় ছাত্রহত্যা ও মসজিদ-মাদরাসায় হামলা দেশ ও মানবতার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র।
সেক্রেটারি জেনারেল শেখ ফজলুল করমি মারুফ বলেন, মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী সায়েদুল হককে অপসারণ করতে হবে। অন্যথায় দেশের ছাত্র-জনতাকে সাথে নিয়ে গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে। তাতে সরকারের আখের রক্ষা হবে না।
আরো বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি জি.এম. রুহুল আমীন, জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল মুহা. আজিজুল হক, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহা. হাছিবুল ইসলাম, প্রশিক্ষণ সম্পাদক শেখ মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম, তথ্য-গবেষণা ও প্রচার সম্পাদক আ হ ম আলাউদ্দীন, প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক এস.এম এমদাদুল্লাহ ফাহাদ প্রমুখ।