ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির হজরত মাওলানা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, বহুল বিতর্কিত কুদরত-এ-খোদা ও কবীর চৌধুরী কমিশনের আলোকে প্রস্তাবিত শিক্ষাআইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এই আইন মুসলমানদের ধর্মীয় চেতনা ও মূল্যবোধশূন্য। এই আইন বাস্তবায়ন হলে ভবিষ্যতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নাস্তিক্যবাদের ইন্ডাস্ট্রিতে পরিণত হবে। তাই এ আইন কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না। গত শনিবার বেলা ৩টায় জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ ও শিক্ষাআইন ২০১৬ বাতিলের দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগরীর দেওয়ানহাটস্থ দলীয় কার্যালয় চত্বরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেন, বর্তমান সিলেবাস থেকে নবী রাসূল সা: ও সাহাবায়ে কেরামগণের জীবনচরিত বাদ দিয়ে রামকৃঞ্চ ও রামায়ণের ইতিহাস সংযোজন করা হয়েছে। ষষ্ঠ শ্রেণীর ইসলাম শিক্ষার একটা বইতেই ৫৮টা বিকৃতি রয়েছে ধর্মীয় নানা তথ্যে। তিনি সরকারের উদ্দেশে প্রশ্ন রাখেন এটি ভারত না স্বাধীন বাংলাদেশ? ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে রামকৃষ্ণ ও রামায়ণ শিখিয়ে জাতিকে হিন্দুস্তানের তল্পিবাহকে পরিণত করার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
কেন্দ্রীয় নেতা ও চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি জান্নাতুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন ওলামা-মাশায়েখ-আইয়িম্মা পরিষদ নেতা মুফাসসিরে কুরআন হাবিবুর রহমান মেসবাহ, আবুল কাশেম মাতব্বর, অধ্যাপক মাওলানা রফীকুল আলম, মুহাম্মদ আল-ইকবাল, ডা: রেজাউল করীম, ফোরকান সিকদার, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, আবদুর রহীম মোল্লা প্রমুখ।
সূত্র : নয়াদিগন্ত