ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের চক্রান্ত বন্ধ না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবো। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানের প্রাণের সাথে মিশে আছে। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম একটি মীমাংসিত বিষয়। কাজেই রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নিয়ে যে কোনো ষড়যন্ত্র ইসলামী জনতা দেশবাসী জীবন দিয়ে রুখবে। সাম্প্রদায়িক নেতারা বিভিন্নভাবে উস্কানী দিয়ে সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চাচ্ছে। এদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধান থেকে বাতিল করার লক্ষ্যে রিটের নামে ইসলামের বিরুদ্ধে গভীর চক্রান্তে মেতে উঠেছে সাম্প্রদায়িক উস্কানীদাতা শক্তি “হিন্দু, বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ”। হাজার বছরের ঐতিহ্য সাম্প্রদায়িকতা ও সকল ধর্মের সহঅবস্থান ও সম্প্রীতি ধ্বংসের গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ বলেই মনে হচ্ছে।
শনিবার (১২ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনস্থ হাউজবিল্ডিং চত্ত্বরে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগরীর আয়োজিত বিশাল বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা মহানগরী সভাপতি অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দীন-এর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারী মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূমের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মাওলানা আতাউর রহমান আরেফী, মাওলানা নেছার উদ্দিন, আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, শ্রমিকনেতা হারুনুর রশিদ, ঈমান উদ্দিন, ছাত্রনেতা হাসিবুল ইসলাম, সৈয়দ ওমর ফারুক, মাওলানা নাযীর আহমদ শিবলী, বাছির উদ্দিন মাহমুদ প্রমুখ।
বিক্ষোভপূর্ব সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, সাম্প্রদায়িক সংগঠন “হিন্দু, বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের” ইচ্ছানুযায়ী রাষ্ট্র ধর্ম-ইসলাম বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের অপচেষ্টা হলে ঈমানদার জনতা রুখে দাড়াবে। এ ধরণের সাম্প্রদায়িক উস্কানী দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার ভয়ঙ্কর চক্রান্ত করা হচ্ছে, এর বিরুদ্ধে সরকারকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন বলেন, কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী আইন করবে না নির্বাচনী ইশতেহারের এ অংশটুকু সংসদে পাশ করতে হবে। রাষ্ট্রধর্ম ইসলামবিরোধ রিট অবিলম্বে প্রত্যাহারের ব্যবস্থা নিতে হবে।
সমাবেশশেষে একটি বিশাল মিছিল পুরানা পল্টন, দৈনিকবাংলা, বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইট হয়ে পল্টন মোড় হয়ে পুনরায় মিছিলটি হাউজবিল্ডিং এসে মুনাজাতের মাধ্যমে শেষ করা হয়।