নাসিরনগররের ঘটনার পেছনের নোংরা রাজনীতির সমস্ত কুটকৌশল প্রকাশ হয়ে যাওয়ার পরও মুসলমানদের সাম্প্রদায়িকতার বয়ান করা আঁতেল ও দলান্ধদের কাজ বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর নেতৃবৃন্দ।
আজ ০৮ নভেম্বর’১৬ ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি জি.এম. রুহুল আমীন এবং সেক্রেটারি জেনারেল শেখ ফজলুল করীম মারুফ এক যুক্ত বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একাংশ এবং এই দুই দলে অনুপ্রবেশকারী লোকজন ওই এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ পরোক্ষভাবে হামলায় মদদ দিয়েছে। আর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মন্ত্রী ছায়েদুল হক হামলাকারীদের আড়ালের চেষ্টা করে নিজেকে দুষ্কর্মের পক্ষভুক্ত করেছেন। এই পর্যবেক্ষণ সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল, ঐক্য ন্যাপের আহ্বায়ক পঙ্কজ ভট্টাচার্য, নিজেরা করি-এর সমন্বয়কারী খুশী কবির, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিয়াউদ্দিন তারিক আলীর।
এই হামলার পেছনে ইসলামপন্থীদের সামান্যতম কোন সংযোগ খুজে পেলে উনারা সেটাকে ফুলিয়ে-ফাপিয়ে তিলকে তাল করে ছাড়তেন। কিন্তু এখন প্রকট বাস্তবতার মুখে তারাই একথা বলছেন। আর আমরা আগে থেকেই বলে আসছি যে, বি বাড়িয়ার ঘটনা কোন সাম্প্রদায়িক ঘটনা না। এটা বরং রাজনৈতিক ঘটনা। এর পরেও মুসলমানদেরকে সাম্প্রদায়িক সহনশীলতার উপদেশ দিতে আসা বোকামি ছাড়া কিছু নয়।
তাছাড়া ইসলামে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার বিষয়ে কঠোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রাসূল (সা.) বলেন, “যে ব্যক্তি কোন আশ্রিত অমুসলিমের (জিম্মি) প্রতি অবিচার করল তার বিরুদ্ধে কেয়ামতের দিন আমি নিজেই ফরিয়াদি হব।” সংখ্যালঘুদের মনে কষ্ট দেয়াও ইসলামে নিষেধ। ফতোয়ায়ে আলমগিরির পঞ্চম খ-ে আছে, “যদি কোন ইয়াহুদি বা মাজুসীকে ‘হে কাফের!’ বলে ডাকলে সে মনে কষ্ট পায় তাহলে তাকে এভাবে ডাকা গুনাহ হবে।” সুতরাং মালাউন বলাও গুনাহ হবে। অতএব বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন করে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা প্রমাণের অশুভ প্রবণতার পরিণতি শুভ হবে না।