সম্প্রতি বাংলাদেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সফর করেছেন। এ সফরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অনেকগুলো চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। যার প্রতিটিতেই ভারতের স্বার্থ সিদ্ধ হয়েছে , আর বাংলাদেশের স্বার্থ ক্ষুন্ন হয়েছে। এ দেশের মানুষ আশা করেছিল এ সফরের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান অসম বাণিজ্য, তিস্তাচুক্তি বাস্তবায়ন, টিপাইমুখ বাধ নির্মাণ বন্ধ, অপদখলীয় ভূমি হস্তান্তর, সীমান্তে নিরীহ বাংলাদেশীদের নির্বিচারে হত্যা ইত্যাদি বিষয়ে সুষ্ঠ সমাধান হবে। কিন্তু অতিবদুঃখের হলেও সত্য সরকার বাংলাদেশের স্বার্থে তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, সরকার ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য ক্ষমতায় বসে আছে।
সারাদেশে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার (১২ জুন) সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে “সম্প্রতি ভারতের সাথে কৃত চুক্তিসমূহে বাংলাদেশের স্বার্থরক্ষা না হওয়া, জাতীয় বাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্দের হার কমানোর প্রতিবাদ এবং মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের স্বীকৃতি প্রদানের জন্য আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করার দাবিতে” ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগর পশ্চিম-এর সভাপতি মুহাম্মাদ শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইশা ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সহ-সভাপতি এইচ এম রফিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
তিনি সরকারকে হুশিয়ার করে বলেন, যদি দেশের স্বার্থ রক্ষা করতে না পারেন তবে এদেশের জনগণ আর এক মুহুর্তের জন্যও আপনাদেরকে ক্ষমতায় দেখতে চাচ্ছে না। সরকার প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্দের হার ২০১৪-১৫ অর্থবছরের থেকেও কমিয়ে দিয়েছে যেটা জাতিকে মেরুদন্ডহীন করার অপপ্রয়াস। তিনি সরকারের প্রতি শিক্ষাখাতে পুনরায় সর্বোচ্চ বাজেট বরাদ্দের দাবি জানান, দাবি আদায় না হলে সর্বস্তরের ছাত্র সমাজকে নিয়ে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তোলার হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তিনি মায়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমদের হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে মায়ানমারের উপর আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগের আহবান জানান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মুহাম্মাদ ইলিয়াস। মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা কলেজের সভাপতি মু. আমজাদ হোসেন আজমী, মহানগর সহ-সভাপতি মু. বেলায়েত হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক জি এম বায়েজীদ ।
কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বরিশাল, ঝালকাঠী, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদাহ, কিশোরগঞ্জ, খুলনা উত্তর, বাগেরহাট, দিনাজপুর দক্ষিণ, গোপালগঞ্জ, সিলেট, চাঁদপুর, লক্ষীপুর এবং ফেনীসহ প্রায় ৪০টিরও বেশি জেলায় একই দাবিতে মানববন্ধন পালিত হয়।