“হে যুবক! চলো এগিয়ে যাই হাতে হাত রেখে সংগ্রামে সংগ্রামে”
রহমাতুল্লাহ বিন হাবিব
দ্বিতীয় পর্ব
মহানবী সা. বিশ্ববাসীকে সৃষ্টির গোলামী থেকে মুক্ত করে স্রষ্টার গোলামীতে নিমজ্জিত করেছিলেন। পাশাপাশি তিনি কল্যাণমূলক রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনার সকল নমুনা পেশ করেছিলেন। এজন্যই তাঁর ইন্তেকালের পর খোলাফায়ে রাশেদীনের সময়ে ইসলামের প্রসার অত্যন্ত দ্রুত গতিতে ঘটেছিল। কয়েক দশকের মধ্যে ইসলাম অপ্রতিরোধ্য শক্তিতে রূপান্তরিত হয়েছিল। কিন্তু আজকের বাস্তবতা হলো আমাদের অবহেলায়অসতর্কতায় সবকিছু হারিয়ে যেতে বসেছি। আমরা আমাদের সোনালী যুগ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামী ইতিহাস ভুলে গিয়ে ইসলামী আন্দোলনের নিজেকে নিবেদিত করছি না। তাই আজ বাংলাদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান থাকা সত্ত্বেও কুফরি মতবাদ গণতন্ত্র মতবাদ সহ পশ্চিমা সভ্যতা ও ভিনদেশী অপসংস্কৃতীর অনৈতিক বোঝা বহন করে চলছি। কিন্তু হে যৌবনের তেজে দীপ্ত যুবক যুবকগণ! আমরা মুসলমান। আমরা শ্রেষ্ঠ জাতি। আমরা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ। আমরা জগতের শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাই শ্রেষ্ঠ কাজের দিকেই হবে আমাদের অগ্রযাত্রা। হে সময়ের শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা! সত্য আর মিথ্যা, আলো আর আঁধার, হক আর বাতিলের দ্বান্ধিক লিলাক্ষেত্র এই পৃথিবী। সৃষ্টির প্রথম প্রভাত হতেই চলে আসছে এদের বিরামহীন আদর্শের লড়াই।