সংবাদ/বিবৃতি

The superiority of Muslims remain in” establishing truth and resisting against injustice”. It is a holy duty for a Muslim to do this work with his/her level best . Especially, students are perfect soldiers for this work. That is why, students are active and effective manpower of a country and a nation.

Soudir-Samorik-Jot-gothon

দুনিয়া নিউজ:

সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়তে মুসলিম দেশগুলোকে সঙ্গে নিয়ে ন্যাটোর আদলে একটি সামরিক জোট গঠন করতে চায় সউদি আরব। নির্দিষ্ট কোনো দেশের বিরুদ্ধে নয়, সন্ত্রাসবাদ এবং আইএসের মতো হুমকির বিরুদ্ধে লড়াই করতেই এ জোট গঠন করা হবে বলে জানানো হয়েছে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দুনিয়া নিউজ’র এক প্রতিবেদনে গত বুধবার জানানো হয়, ৩৪টি মুসলিম দেশের সমন্বয়ে একটি সামরিক জোট গঠনের কাজকে সামনে এগিয়ে নেয়ার জন্য পাকিস্তানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

মুসলিম দেশগুলো নিয়ে সামরিক জোট গঠনের ব্যাপারে সউদি আরবের এ প্রস্তাব পাকিস্তানের কাছে আসে ফেব্রুয়ারি মাসে। তখন সউদি আরবে মুসলিম দেশগুলোর একটি বৃহৎ যৌথ সামরিক মহড়ার সময় রিয়াদ সফর করেন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ এবং সেনাপ্রধান রাহিল শরিফ। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সউদি আরবের উত্তরাঞ্চলে অনুষ্ঠিত ওই মহড়ায় ২১টি মুসলিম দেশ অংশগ্রহণ করে। তখনই সউদি সরকার এই জোট গঠনের ব্যাপারে প্রাথমিক প্রস্তাব দেয় এবং এ ব্যাপারে খসড়া তৈরির জন্য পাকিস্তানকে দায়িত্ব দেয়। এমনকি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল রাহিল শরিফকে এই সামরিক জোটের কমান্ডারের দায়িত্ব নেয়ার ব্যাপারেও অনুরোধ করেন সউদি নেতারা। তবে এ ব্যাপারে এখনো কোনো কিছু চূড়ান্ত করা হয়নি।

সউদি আরব বেশ কিছু দিন ধরেই মুসলিম দেশগুলোকে নিয়ে বড় ধরনের সামরিক জোট গঠনের প্রস্তাব করে আসছে। এর আগে তারা এ ধরনের একটি জোট গঠনের ব্যাপারে প্রকাশ্যে ঘোষণাও দিয়েছিল। কিন্তু অধিকাংশ সদস্য দেশ তেমন সাড়া না দেয়ায় এবং সিরিয়ায় সউদির সামরিক অভিযানের ব্যাপারে বিশ্ব শক্তিগুলোর সমর্থন না থাকায় সেই জোটের কার্যক্রম শুরুতেই স্থবির হয়ে যায়। আর তাই এবার নতুন করে ঘোষণা দেয়ার আগে গুছিয়ে এগোতে চাইছে সউদি আরব। তাই নতুন সামরিক জোটের ব্যাপারে কাজকর্ম এগিয়ে নেয়ার জন্য পাকিস্তানকে দায়িত্ব দিয়েছে তারা।

তবে প্রস্তাবিত এই জোটে শিয়াপ্রধান ইরানকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে কিনা, তা এখনো পরিষ্কার নয়। আর সউদি আরব ও ইরান মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাব বিস্তার নিয়ে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। যদি ইরানকে বাদ দিয়ে এই জোট হয়, তাহলে প্রভাব বাড়বে সউদির। সুন্নি আরব রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে ইসরাইল তার সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ করতে চায়; এমন খবর প্রকাশিত হওয়ার পরই সউদি নেতৃত্বাধীন এই জোটের খবর প্রকাশিত হলো।

এর আগে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, ৩৪টি মুসলিম দেশকে নিয়ে সন্ত্রাসবিরোধী সামরিক জোট গঠনের ঘোষণা দেওয়ায় সউদি আরবের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল আইএস (ইসলামিক স্টেট)। সিরিয়ায় তাদের সঙ্গে লড়াইয়ে মুখোমুখি হতে সংগঠনটি এক ভিডিও বার্তায় সউদি আরবকে আহ্বান জানায়। ব্রিটিশ দৈনিক মিরর এ খবর প্রকাশ করেছিল।

সউদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোট নিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নানামুখী আলোচনা অব্যাহত আছে। সউদি আরব ঠিকমতো হিসাব-নিকাশ না করেই এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনা করছে বলে মন্তব্য করেছিল বিশ্লেষকরা।

ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা উড্রো উইলসন ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর স্কলারসের ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যারন ডেভিড মিলার প্রশ্ন তুলেছেন, মুসলিম ও আরব দেশগুলো তাদের সংক্ষুব্ধ, ভঙ্গুর ও অকার্যকর অঞ্চলের কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সমন্বিত উপায়ে অভিন্ন অবস্থান কি কখনো নিয়েছে? এমন নজির তো নেই। এ অবস্থায় সউদি আরবের নতুন সামরিক জোট নিয়ে আশাবাদী হওয়ার কোনো কারণ নেই। ওই অঞ্চলে ৭০ বছরের পুরনো সংগঠন আরব লিগ, ওআইসি এবং মধ্যপ্রাচ্য সহযোগিতা কাউন্সিলের মতো সক্রিয় সংগঠন অবশ্য এখনো আছে।

মার্কিন টিভি চ্যানেল সিএনএনে দেওয়া এক বিশ্লেষণে ডেভিড মিলার বলেছিলেন, ইসলামী সামরিক জোট গঠনের ঘোষণা দেওয়া হলেও সন্ত্রাসের হুমকির চরিত্র সম্পর্কে যেমন কিছু বলা হয়নি, তেমনি উগ্রপন্থি জিহাদি ও ইসলামী জঙ্গিদের প্রসঙ্গে কিছু উল্লেখ করেনি সউদি আরব। এ ছাড়া জোটের তালিকায় থাকা দেশের নাম থেকে বুঝতে বাকি থাকে না যে এটি মার্কিন নেতৃত্বাধীন ৬৫ দেশের জোটের বাইরে যেতে চায় না।

সম্পর্কিত কার্যক্রম

সম্পর্কিত কার্যক্রম

সদস্য ফরম

নিচে তথ্যগুলো দিয়ে পাঠিয়ে দিন