ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতিতে নতুন ও ভিন্ন মাত্রা যুক্ত হয়েছে। প্রচলিত দলকেন্দ্রিক মানষিকতা পরিহার করে আগামীর সুখী-সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ার জন্য একদল যোগ্য কর্মী বাহিনী তৈরির কাজ করছে সংগঠনটি। আদর্শিকভাবে বিপর্যস্ত ছাত্র সমাজকে সঠিক পথে পরিচালিত করার মাধ্যমে বুর্জোয়া সমাজ পরিবর্তনের বিপ্লবী পথযাত্রী হিসেবে তৈরি করতে ১৯৯১ সালের ২৩ আগস্ট ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর ততকালীন আমীর আল্লামা সৈয়দ ফজলুল করীম রহ. এক বিপ্লবী উদ্যোগ গ্রহণ করেন। যার চূড়ান্ত ফলাফল হলো ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর প্রতিষ্ঠা।
প্রতি বছরই প্রতিষ্ঠার মাস আগস্ট জুড়ে কেন্দ্র থেকে শুরু করে জেলা, উপজেলা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ইউনিয়ন-ওয়ার্ড-ইউনিট শাখায় বর্ণাঢ্য আয়োজন করে উদযাপন করা হয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। যার অংশ হিসেবে আজ ২৩ আগস্ট শুক্রবার সংগঠনের লক্ষীপুর ও মাদারীপুর সহ দেশের বিভিন্ন শাখায় পালিত হয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি।
সংগঠনের লক্ষীপুর জেলা শাখার আয়োজনে শহরের (সোনামিয়া) কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে আয়োজিত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর যুগ্ম মহাসচিব ও ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।
সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শেখ ফজলুল করীম মারুফ। তিনি উপস্থিত ছাত্র-জনতাকে দেশের ভবিষ্যত নেতৃত্ব প্রদানের জন্য স্বীয় যোগ্যতা অর্জন করতে একাডেমিক পড়াশোনায় আরও বেশী মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি আরো বলেন, নীতিহীন নেতৃত্বের হাতে দেশ নিরাপদ নয়, যা দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বারবার প্রমাণিত হয়েছে। সুতরাং দেশের সচেতন মহল এখন আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। তাই আমাদেরকে যোগ্যতার শীর্ষে আরোহণ করে দেশ পরিচালনার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।
এছাড়াও মাদারীপুর জেলা শাখার উদ্যোগে শহরের রফিক সুপার মার্কেট চত্বরে আয়োজিত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মাদ মুস্তাকিম বিল্লাহ বলেন, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন প্রতিষ্ঠার পর থেকে ছাত্র সমাজের অধিকার নিয়ে কাজ করছে। প্রচলিত নীতিহীন ছাত্র রাজনীতির নাগপাশ থেকে ছাত্র সমাজকে সুস্থ রাজনীতির দিকে ফিরিয়ে আনার কাজ করছে। ক্ষমতা ও আধিপত্ব বিস্তারের রাজনীতির বিপরীতে রাজনৈতিক সহাবস্থানের আহবান করছে। এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আজ আমরা দেশের ত্রি-ধারার শিক্ষাব্যবস্থার সর্বস্তরের শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। সুতরাং এই জনপ্রিয়তাকে সাথে নিয়ে ইসলাম, দেশ ও মানবতার জন্য আমরা কাজ করে যাব ইনশা-আল্লাহ।
তিনি আরো বলেন, আজ মানবতার প্রশ্নে দুর্বলচিত্তের অধিকারী হওয়ায় বাংলাদেশের সরকারে থাকা নেতৃবর্গ কাশ্মীরের সমস্যাকে ভারতের অভ্যান্তরীন বিষয় বলে উড়িয়ে দিয়ে সে সম্পর্কে কথা বলতেও নারাজ। অথচ তাদের উচিত ছিল প্রতিবেশী মুসলমানদের পক্ষে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বহাল রাখার জন্য অন্তত ভারত সরকারকে অনুরোধ করা। কিন্তু সেটা না করার কারণে আমরা মুসলিম উম্মাহ হতাশ হয়েছি বাংলাদেশের ভবিষ্যত নিয়েও। কারণ যারা নিজেদের স্বার্থ ব্যতীত মানবতাকেও প্রশ্রয় দেয়না, তাদের প্রতি আমরা আস্থা রাখতে পারিনা। আমরা সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে এক দেহের ন্যায় মনে করি। আমরা আজকের এই সমাবেশ থেকে কাশ্মীরের স্বাধীনতার পক্ষে থাকার ঘোষণা করছি।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় সংঠনের আয়োজনে ঢাকার পল্টনে অনুষ্ঠিত সমাবেশের পর গুরুত্বপূর্ণ দুইটি বিভাগে বিভাগীয় সমাবেশ করতে যাচ্ছে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন। তন্মধ্যে খুলনা বিভাগীয় ছাত্র সমাবেশ আগামী ৩ অক্টোবর নগরীর শহীদ হাদীস পার্কে এবং বরিশাল বিভাগীয় ছাত্র সমাবেশ আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর শনিবার নগরীর ফজলুল হক এভিনিউতে (নগর ভবনের সম্মূখে) অনুষ্ঠিত হবে। উভয় সমাবেশেই ইসলামী আন্দোলনের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই ও সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শেখ ফজলুল করীম মারুফ এবং বরিশালে দলের নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়েখে চরমোনাই সহ একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
আমাদেরকে সাথে পেতে
website: www.old.chhatraandolan.org
online library: www.iscalibrary.com
e-mail: iscabd91@gmail.com
fb page: Islami Shasantantra Chhatra Andolan
twitter: www.twitter.com/iscabd
YouTube-(ISCA BD): www.youtube.com/iscabd1
Google Plus: www.google.com/+iscab