মায়ানমার সরকার পরিকল্পিতভাবে রোহিঙ্গা বিতাড়নে নতুনভাবে হত্যাযগ্য চালাচ্ছেন বলে বিবৃতি প্রদান করেছেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর নেতৃবৃন্দ।
আজ ১১ নভেম্বর’১৬ ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি জি.এম. রুহুল আমীন এবং সেক্রেটারি জেনারেল শেখ ফজলুল করীম মারুফ এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, রয়টার্স ও এএফপির সূত্র বলছে রাখাইন রাজ্যে সম্প্রতি অভিযান চালানোর সময় দেশটির সেনা সদস্যরা অনেক রোহিঙ্গা মুসলিম নারীকে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন করেছে।
নির্যাতনের শিকার নারীদের ভাষ্য- সেনারা তাঁদের বাড়িতে হানা দেয় এবং লুটপাট চালায়। বন্দুকের মুখে তাঁদের ধর্ষণ করে। শুধু গত ১৯ অক্টোবর একটি গ্রামেই ৩০ জন রোহিঙ্গা নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন রোহিঙ্গা মানবাধিকার সংস্থা ‘আরাকান প্রজেক্ট’ এর পরিচালক ক্রিস লেওয়া। গত ২৫ অক্টোবর বার্মা হিউম্যান রাইটস নেটওয়ার্ক (বিএইচআরএন) এক বিবৃতিতে বলেছে- চরম উদ্বেগের ব্যাপার যে, সামরিক বাহিনীর অভিযানের সময় মংডু এলাকায় অন্তত ১০ নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এদের মধ্যে অন্তঃসত্তা নারীও আছেন।
এইচআরডাব্লিউ ও বিএইচআরএনসহ মানবাধিকার সংগঠনগুলোও রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনী হত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে।
গত ২৬ অক্টোবর ১৬ বিবিসি বাংলার এক রিপোর্টের কয়েকটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে রোহিঙ্গা মুসলমানদের দেখলেই বিনা প্রশ্নে গ্রেপ্তার করছে, বিষয়-সম্পত্তিতে অগ্নিসংযোগ করেছে এবং আতংকিত বাসিন্দারা পালিয়ে যাচ্ছে। এতকিছুর পরও মায়ানমার সরকারকে কি অপরাধী সাব্যস্ত করা হবে না? প্রতিবেদন বলছে মিয়ানমারের নেতা অং সান সুচি অসন্তুষ্ট হতে পারেন এই আশংকায় বহু কূটনীতিক ও সাহায্য সংস্থাই এই পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলতে আগ্রহী হচ্ছেন না। এই কঠিন মুহূর্তে বিশ্বমানবতা উদ্বিগ্ন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে অবশ্যই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ হিতে হবে। প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে আমরা মনে করি বাংলাদেশ সরকার রহিঙ্গাদের প্রতি সমবেদনা জানাবে।