ইশা ছাত্র আন্দোলন-এর ২৫ বছর পূর্তিতে সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ-এর অনুভূতি
১. ইসলাম একটি শাশ্বত দীন বা ধর্ম। এর প্রাসঙ্গিকতা যেমন সার্বজনীন ও সর্বকালের, ইসলাম প্রতিষ্ঠা বা এর বিষয়গুলো নিয়ে যারা সহীহ ধারায় কাজ করেন তাদের প্রাসঙ্গিকতাও সার্বজনীন ও সর্বকালের। ইশা ছাত্র আন্দোলন যেহেতু সহীহ ধারার ইসলামী একটি ছাত্র সংগঠন, কাজেই এর প্রসঙ্গিকতা রয়েছে বর্তমান বাংলাদেশেতো বটেই সর্বযুগেও।
২. হ্যাঁ, বেশ অগ্রসর হয়েছে। সংগঠনটি এখন পঁিচশ বছরের পূর্ণ যৌবনকাল অতিক্রম করছে। ইতোমধ্যে যাথেষ্ঠ জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছে এদেশের ছাত্র সমাজের হৃদয় গহীনে। আস্থাও অর্জিত হয়েছে ইর্ষনীয়। তবে মনে রাখতে হবে, এটা কিন্তু আমাদের পথের শুরু, যেতে হবে দূর বহু দূরে।
৩. পরিবর্তিত বিশ্বরাজনীতি ক্রমেই জটিলতার দিকে যাচ্ছে। মানবতা আজ কাগজে স্লোগানে পরিণত হয়েছে। দীন- ধর্মের শিক্ষা না থাকায় ‘ইনসাফ’ পালিয়ে গেছে দূর বহু দূরে। বিশ্ব নেতারা বোধকরি মানব অঙ্গ ‘হৃদয়’ ছাড়াই জন্ম গ্রহণ করছে। আমার প্রিয় মাতৃভূমির নেতা-নেতৃরা এর প্রভাব থেকে মোটেই মুক্ত নয়। কথায় আছে অন্ধকার যত গাড় হয় আলোর চাহিদা ততই প্রকট হয়। ক্ষুধা পেলে খাবর চাহিদাতো অবশ্যই বেড়ে যায়। কাজেই ওদের অত্যাচার-অনাচার, জুলুমবাজী যতই তীব্র হচ্ছে ইশা ছাত্র আন্দোলনের উপযোগিতা ততই বৃদ্ধি পচ্ছে বলে আমার ধারণা।
৪. বিগত ২৫ বছরে ছাত্র আন্দোলনের অর্জনের ফিরিস্তি মোটেই ছোট নয়। সংক্ষিপ্তভাবে এখানে তুলে ধরলে সেটা সংগঠন ও তার কান্ডারীদের উপর অবিচার করা হবে। আপনারা (বর্তমান দায়িত্বশীলগণ) স্বারকের অন্য কোথাও তালিকা পেশ করতে চাইলে আমরা সহায়তা করতে পারব। তবে যে অর্জনটার কথা একেবারে না বললেই নয় তা হলো : একটা সংগঠন তার লক্ষপানে পৌঁছাতে সর্বাগ্রে ও সর্বপ্রথম প্রয়োজন হল, সংগঠনটিকে একটি মজবুত, সু-দৃঢ় ও সঠিক কাঠামোর উপর দাড় করানো। ইশা ছাত্র আন্দোলনের কান্ডারীগণ উলে¬খিত সময়ে তিলে তিলে একাজটি অত্যš— সুচার“ ও নিখুঁতভাবে করতে সক্ষম হয়েছেন। সংগঠনটির জন্য এটি একটি মৌলিক অর্জন।