বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ভুলের ধারাবাহিকতায় এবারও এইচএসসির বিজ্ঞান বিভাগের প্রশ্নপত্রে ভুলের ঘটনা ঘটেছে। এতে শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ন্ত্রকদের চরম অবহেলা ও শিক্ষা নিয়ে রাষ্ট্রীয় তৎপরতার হ য ব র ল চিত্র ফুটে উঠেছে। জাতির মেরুদণ্ড খ্যাত শিক্ষাখাতকে রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অমর্যাদার চোখে দেখার দৃশ্য জাতির সামনে দৃশ্যমান হয়েছে। বরাবরই যারা এসবের অনুঘটক, তাদের প্রতি কঠোর ব্যবস্থাগ্রহণ হয়না বলেই এসব বারবার ঘটে চলেছে। আজ ২ সেপ্টেম্বর’২৩ ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ ও সেক্রেটারি জেনারেল ইউসুফ আহমাদ মানসুর এক যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, একটি পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন বারবার নিরীক্ষা হওয়ার কথা। কিন্তু সময় ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার রিপোর্টে প্রদত্ত বিবরণ থেকে দেখা যাচ্ছে, প্রশ্নের মান বসানোর অনুপস্থিতি, পরীক্ষার্থীদের অনুপযোগী প্রশ্ন তৈরি, প্রশ্নের নানান অপশন না থাকাসহ বিভিন্ন ধরণের অসঙ্গতিতে পূর্ণ ছিল এবারের প্রশ্ন। এতে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার হলে হয়রানির শিকার হতে হয়। অনেকের পরীক্ষা খারাপ হয়। এসবের দায় নেবে কে?
সম্প্রতি শিক্ষাখাতে চরম দায়হীনতা দেখছে জাতি। দেশীয় বোধ-বিশ্বাস ও সংস্কৃতিকে পাশ কাটিয়ে ভিন জাতির ধর্মীয় সংস্কৃতি এদেশের শিক্ষার্থীদের মগজে চাপিয়ে দিচ্ছে চিহ্নিত মহল। অনতিবিলম্বে প্রশ্নপত্র ভুল এর সঙ্গে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত পূর্বক আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় এদেশের সাধারণ শিক্ষার্থীরা শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে তামাশার কঠিন জবাব দিতে রাজপথে নেমে আসবে।