গত ১২ এপ্রিল’১৬, মঙ্গলবার ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে ঢাকা মহানগর পশ্চিমের সভাপতি জি এম বায়েজীদ-এর সভাপতিত্বে “শিক্ষা আইন-২০১৬”-এর নামে দেশের নব্বই শতাংশ জনগণের আদর্শ বিরোধী সেক্যুলার শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকার হাউজ বিল্ডিং চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ মিছিলটি রাজধানী ঢাকার হাউজ বিল্ডিং চত্বর থেকে শুরু হয়ে দৈনিক বাংলা, বাইতুল মোকাররম ও পল্টন মোড় পদক্ষিণ করে।
বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি ছাত্রনেতা নূরুল ইসলাম আল-আমীন বলেন, সরকার শিক্ষানীতি ২০১০ প্রনয়ণের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে শিক্ষা কারিকুলামকে ধর্ম ও আদর্শহীন করার ষড়যন্ত্র অব্যহত রেখেছে। সিলেবাস থেকে বাদ দেয়া হয়েছে রাসূল সা., আবু বকর ও ওমর রা.-এর জীবনী; বিদায় হজ্ব; শিক্ষাগুরুর মর্যাদা; শহীদ তিতুমীরের জীবনী; সততার পুরস্কার; প্রার্থনা, হামদ ও ওমর ফারুক কবিতা এবং মরু ভাস্কর নামে রাসূল সা.-এর জীবনী এর বদলে বইয়ের প্রবেশ করেছে ‘বই’ কবিতায় কুরআনের অপমান, ‘বাংলাদেশের হৃদয়’ কবিতায় দেবী-দূর্গার প্রশংসা, ‘লাল গরুটা’ গল্পে হিন্দুত্ববাদ, ‘আনন্দ পাঠে’ রামায়নের সংক্ষিপ্তরূপ, ‘আমার সন্তান’ কবিতায় দেবী অন্নপূর্ণার কাছে প্রার্থনা, ‘সুখের লাগিয়া’ কবিতায় রাধা-কৃষ্ণের লীলাকৃর্তণ ইত্যাদি। এমন পরিস্থিতিতে খসড়া শিক্ষা আইনের ৭ এর ২, ৩, ১১ ও ১২নং উপধারায় বর্ণিত নির্ধারিত পাঠ্যসূচির বাধ্যবাধকতা ইসলাম ও আদর্শ শিক্ষাকে ঠেকানোর চক্রান্ত হিসেবেই আমরা মনে করি।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, শিক্ষা আইন ২০১৬ বাস্তবায়নে লক্ষ্যে অনলাইন মতামতের জন্য মাত্র ৭ দিন সময় দেয়া হয়েছে। এটা দেশের জনগণের সাথে তামাশা ছাড়া কিছু নয়। এর জন্য অন্তত তিন মাস সময় দিতে হবে।
২ এর ২১, ২২নং ধারায় ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষাকে আলাদা করে দেখানো ধর্মকে উপেক্ষা করার নামান্তর। তাই আমরা স্পষ্টভাবেই বলছি দেশের অধিকাংশ জনগণের আদর্শ ও চিন্তা-চেতনাকে সামনে রেখেইে শিক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে। অন্যথায় সকল স্তরের শিক্ষার্থীদের নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে, ইনশাআল্লাহ।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর সেক্রেটারি জেনারেল শেখ ফজলুল করীম মারুফ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহা. হাছিবুল ইসলাম ও নগর নেতৃবৃন্দ।