রোহিঙ্গাদের রক্ষায় সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন পীর সাহেব চরমোনাই
রোহিঙ্গারা শত শত বছর মিয়ানমারে বসবাস করছে। তারা মিয়ানমারের স্থায়ী নাগরিক। তাদেরকে নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়ে বিপদগামী ও সহায়হীন করার পর তাদেরকে হত্যা নির্যাতন, গৃহহীন ও নারীদেরকে ধর্ষণ করে মিয়ানমার সরকার বিশ্বের বুকে নিকৃষ্ট পশু হিসেবে নিজেদেরকে জানান দিয়েছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদেরকে যারা আশ্রয় না দিয়ে সাগরে ভাসিয়ে দিচ্ছেন তারাও পশুর ন্যায় আচরণ করছেন।
গত ২৮ নভেম্বর’১৬ ঐতিহাসিক চরমোনাই মাহফিলে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল ইসলাম আল-আমীন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশাল ছাত্র- গণজমায়েতে পীর সাহেব চরমোনাই উপরিউক্ত কথাগুলো বলেন।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের রক্ষায় বাংলাদেশ সরকারকে পশুর আচরণ না করে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের প্রায় ১ কোটি জনগণ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল। এখন রোহিঙ্গাদের বিপদের মুহুর্তে আমাদেরকে মানবিক তাগিদেই রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া উচিত। জাতিসংঘ-ওআইসি সহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ না করা মিয়ানমারকে মানবাধিকার লক্সঘনে উৎসাহ প্রদানের সামিল। আগামী ৫ ডিসেম্বর’১৬ মিয়ানমার দুতাবাস অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল সফলের আহবান জানিয়ে পীর সাহেব চরমোনাই অচিরেই কঠোর কর্মসূচি প্রদানের হুঁশিয়ারি দেন।
পীর সাহেব চরমোনাই আরো বলেন, বিতর্কিত শিক্ষানীতি ২০১০ ও শিক্ষাআইন ২০১৬ বাস্তবায়ন হলে এদেশে মুসলমানিত্ব থাকবে না। কারণ ইতোমধ্যেই আমরা লক্ষ্য করেছি সিলেবাস থেকে একের পর এক ইসলামী আদর্শ সম্পর্কিত বিষয়াবলী পাঠ্যপুস্তক থেকে বাদ দিয়ে সেক্যুলার ও হিন্দুয়ানি বিষয়াবলী সংযুক্ত করে দেশের ভবিষ্যত প্রজন্মকে ইসলাম ও নৈতিকতাহীন করার চক্রান্ত পাকাপোক্ত করা হয়েছে। এ অবস্থায় মুসলমানরা ঘরে বসে থাকবে না। চূড়ান্ত আন্দোলনের মাধ্যমে এ দেশের জনগণ শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করবে, ইনশাআল্লাহ।
ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন এর নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ইশা ছাত্র আন্দোলন এর একটি মৌলিক স্লোগান হলো ‘সাহাবাদের অনুসরণ’। সাহাবাদের অনুসরণের মাধ্যমেই একটি আদর্শ ও নৈতিকতা সম্পন্ন ভবিষ্যত প্রজন্ম তৈরি হবে। দুর্নীতিমুক্ত সমাজ-রাষ্ট্র গঠন হবে। অতএব লেখাপড়ার পাশাপাশি ছাত্রদেরকে ইসলামের সুমহান আদর্শে নিজেদেরকে আদর্শিত করতে হবে।
ছাত্র গণজমায়েতে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজি, মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন এর কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, ইসলামী যুব আন্দোলন এর কেন্দ্রীয় আহবান কে.এম আতিকুর রহমান, ইশা ছাত্র আন্দোলন এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি জি.এম রুহুল আমীন, সেক্রেটারি জেনারেল শেখ ফজলুল করীম মারুফ, জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল মুহা. আজজুল হক, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহা. হাছিবুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক শেখ মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় তথ্য-গবেষণা ও প্রচার সম্পাদক আ হ ম আলাউদ্দীন প্রমুখ।