২০০২ সালের ১৫ আগস্ট ইসলামী মূল্যবোধের দাবিদার জোট সরকারের আমলে ঢাকার মালিবাগে আল্লাহর ঘর মসজিদ রক্ষার করার জন্য শহীদ হন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কর্মী হাফেজ রেজাউল করীম ঢালী ও হাফেজ আবুল বাশারসহ ৪জন। শহীদের রক্তে রঞ্জিতকারী সেই খুনিদের এখনো কোন বিচার হয়নি। বিএনপি-জামাত জোট সরকারের মদদে তৎকালীন ক্ষমতাসীনরা ইতিহাসের এই ঘৃণ্য কাজ করেছিল।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট’১৭) সকাল ১০টায় ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ২০০২ সালে মালিবাগে মসজিদ রক্ষার আন্দোলনে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর দায়িত্বশীলসহ শাহাদাত বরণকারী ৪ শহীদের স্মরণে আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সভাপতি জি.এম. রুহুল আমীন উপর্যুক্ত কথা বলেন।
সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম-এর সঞ্চালনায় আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে কেন্দ্রীয় সভাপতি আরো বলেন, চার শহীদের রক্তপিচ্ছিল পথেই ইশা ছাত্র আন্দোলন-এর অগ্রযাত্রা। তোমাদের রক্ত বৃথা যায়নি। তোমাদের রক্তই আমাদের চূড়ান্ত বিপ্লবের প্রেরণা জোগায়।
দোয়া মাহফিলে বক্তারা বলেন, বর্তমান বিচার ব্যবস্থায় একাত্তরের মানবতা বিরোধীদের বিচার হয়েছে। সেই বিচার ব্যবস্থায় ২০০২ সালের খুনিদের বিচার করাও সরকারের সদিচ্ছা থাকলেই সম্ভব। তাই মসজিদ রক্ষার আন্দোলনে শাহাদাত বরণকারী চার শহীদ- হাফেজ রেজাউল করীম ঢালী, হাফেজ আবুল বাশার, মুহাম্মাদ ইয়াহইয়া ও মুহাম্মাদ জয়নাল আবেদীন-এর খুনিদের বিচার করতে হবে।
দোয়া মাহফিলে অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মাদ হাছিবুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস.এম. এমদাদুল্লাহ ফাহাদ, প্রশিক্ষণ সম্পাদক নোমান আহমাদ, তথ্য-গবেষণা ও প্রচার সম্পাদক মুহা. ইলিয়াস হাসান, প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক এইচ.এম কাওছার আহমাদ প্রমুখ।