সময়ের আবর্তনে ১ মে এসেছে। সারাদেশে শ্রমিক দিবস পালন করছে। মজার ব্যপার হলো যে, পুঁজিবাদের নিষ্পেষণের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার মাধ্যমে শ্রমিক দিবসের সূচনা। সেই পুঁজিবাদীরাই মহা ঢাক-ঢোল পিটিয়ে শ্রমিক দিবস পালন করছে। নিপীড়ন, নিষ্পেষনের বিরুদ্ধে রক্তাক্ত বিদ্রোহের এ দিনকে আজ উৎসবের দিনে পরিণত করা হয়েছে। ইসলামী শানসতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন দ্রোহের স্মৃতিকে উৎসবের দিনে পরিণত করার এই প্রবণতাকে নিন্দা করে।
শ্রমিক নিপীড়নের শেকড় পুঁজিবাদের তত্ত্বেই নিহিত। “কম খরচে বেশি উৎপাদন” তত্ত্বের কারণেই মালিক পক্ষ নানা ধান্ধায় শ্রমিকেদের কম মজুরী দেয়। তাদের কর্মক্ষেত্র উন্নয়নে বিনিয়োগ করেনা। তাদের নিরাপত্তা, সেবা ইত্যাদিতে খরচ করেনা। তাই পুঁজিবাদকে বহাল রেখে শ্রমিক দিবস পালন করা নেহায়তই তামাশা মাত্র। ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন শ্রমিক স্বার্থ রিরোধী পুঁজিবাদের অবসান চায়।
বাংলাদেশের শ্রমখাতসমূহ আজো চিহ্নিত করা হয়নি। চিহ্নিত শ্রম খাতগুলোর কাগজে কলমে আইন-কানুন থাকলেও অচিহ্নিত শ্রম খাতের ক্ষেত্রে তাও নাই। ইশা ছাত্র আন্দোলন দেশে বিদ্যমান সকল শ্রম খাতকে চিহ্নিত করে তাদের সুরক্ষায় আইন প্রণয়ন করার দাবী জানাচ্ছে।
বাংলাদেশের শ্রম আইনসমূহ সুন্দর কথা ফুলঝুড়ি ছাড়া আর কিছুনা। অভিজাতবাদী আমলা, স্বার্থান্বেষী শ্রমিক নেতা, আর লুটেরা রাজনৈতিক নেতৃত্বের কারণে শ্রম আইনসমূহ কাগজের পাতায় সীমাবদ্ধ। ইশা ছাত্র আন্দোলন অবিলম্বে শ্রম আইনসমূহের বাস্তবায়ন চায়।
মুনাফাখোরী মনোভাবের কারণে শিল্পক্ষেত্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অথৈবচ। ইশা ছাত্র আন্দোলন শিল্পক্ষেত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবী জানাচ্ছে।
মন্ত্রী, এমপি, সরকারী কর্মকর্তাদের মজুরী বৃদ্ধি পেয়ে দিগুণ হয়েছে। আর শ্রমিকরা সেই তিমিরেই পড়ে আছে। ইশা ছাত্র আন্দোলন শ্রমিকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার জোর দাবী জানায়।