পাঠ্যসূচিতে ইসলাম ও দেশবিরোধী বিষয় পুনঃসংযোজনের যে ষড়যন্ত্র চলছে তা কোনভাবেই বাস্তবায়ন হতে দেয়া যাবে না। ইতোপূর্বে আমরা অনেক ঘাম ঝরিয়ে পাঠ্যপুস্তকে পরিবর্তন এনেছি। এবার প্রয়োজনে বুকের তাজা রক্ত দেব। তারপরেও এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না।
১৪ জুলাই (শুক্রবার) পাঠ্যবই নিয়ে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পর্যালোচনা বৈঠকে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি জি.এম. রুহুল আমীন উপর্যুক্ত কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা সরকারকে বিভিন্ন মাধ্যমে জানিয়েছি পাঠ্যবইয়ে কোন কোন বিষয় ইসলাম ও দেশবিরোধী। তাই সেই বিষয় যেন আর যুক্ত না হয়। পাঠ্যবই মূল্যায়ন করার জন্য শিক্ষামন্ত্রী যে কমিটি করেছে তা বাতিল করতে হবে এবং এ বিতর্কিত কমিটির কোনো সুপারিশ গ্রহণ করা হলে সারাদেশে আন্দোলনের দাবানল জ্বলে উঠবে।
কেন্দ্রীয় সভাপতি আগামী ২০ জুলাই’১৭ সারাদেশের থানায় থানায় মানববন্ধন ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর স্মারকলিপি পেশ প্রোগ্রাম সফল করার আহ্বান জানান।
আজ সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম মহানগরে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জে জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল মুহা. হাছিবুল ইসলাম, পটুয়াখালীতে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস.এম. এমদাদুল্লাহ ফাহাদ, লক্ষ্মীপুরে কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক নোমান আহমাদ, ঠাকুরগাঁওয়ে কেন্দ্রীয় প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক এইচ.এম কাওছার আহমাদ, বগুড়ায় কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক মুহা. মুস্তাকিম বিল্লাহ, যশোরে কেন্দ্রীয় যোগাযোগ ও অফিস ব্যবস্থাপনা সম্পাদক নূরুল করীম আকরাম, সিলেটে কেন্দ্রীয় সদস্য মাহমুদুল হাসান ও ঝিনাইদহে কেন্দ্রীয় সদস্য মুহা. আবদুল জলিল।
এছাড়াও চাঁদপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লা, নরসিংদী, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, খুলনা, বাগেরহাট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ভোলা, বরিশাল, দিনাজপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ময়মনসিংহ, কুড়িগ্রাম, বগুড়াসহ প্রায় সকল জেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও, কিশোরগঞ্জ, বগুড়া, ঝিনাইদহ-সহ বেশ কিছু জেলায় বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ বাধা দেয় এবং মিছিলে হামলা চালিয়ে বানচাল করার চেষ্টা করে। মিছিলে পুলিশ বাধা দিয়ে আমাদের নাগরিক অধিকার ক্ষুণ্ন করেছে। আমরা মিছিলে বাধা এবং হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।