মঙ্গল শোভাযাত্রা হিন্দুধর্মের একটি ধর্মীয় উৎসব। একে বাঙালি সংস্কৃতি বলে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ওপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে এবং ইউনেস্কোর মত একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে বাঙালি জাতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎসব হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এভাবে যদি পশ্চিম বঙ্গের সংস্কৃতিকে বাঙালি সংস্কৃতি বলা হয় তবে স্বাধীন বাংলার মানচিত্রের কোন স্বাতন্ত্র্য থাকে না। আগামী পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সরকার যেভাবে সারাদেশে মঙ্গল শোভাযাত্রা পালনের নির্দেশ দিয়েছে তা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
শনিবার (১ এপ্রিল’১৭) ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি জি.এম. রুহুল আমীন-এর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম-এর সঞ্চালনায় কেন্দ্রীয় কমিটির নিয়মিত বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সভাপতি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
তিনি আরো বলেন, হলি উৎসবে এমন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটা সত্তে¡ও একের পর এক হিন্দুয়ানি সংস্কৃতি পালনের জন্য সরকারের কিছু মন্ত্রী উঠেপড়ে লেগেছে। তারা আমাদের স্বাধীনতাকে বিলিয়ে দিয়ে তাদের প্রভুকে রাজি-খুশি করার জন্য ঘৃন্য অপচেষ্টায় লিপ্ত; যা কোনভাবে বরদাশত করা হবে না। তিনি অনতিবিলম্বে মঙ্গল শোভাযাত্রার ব্যাপারে যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে তা প্রত্যাহার করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন। যদি প্রত্যাহার করা না হয় তাহলে আমরাও আমাদের দেশীয় ও ধর্মীয় চেতনা রক্ষা করার জন্য মঙ্গল শোভাযাত্রা প্রতিহত করার ঘোষণা দিতে বাধ্য হব।
উক্ত বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শাইখ ফজলুল করীম মারুফ, জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল মুহা. হাছিবুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক এস.এম এমদাদুল্লাহ ফাহাদ, প্রশিক্ষণ সম্পাদক নোমান আহমাদ প্রমুখ।