বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের মহাসচিব বিশিষ্ট আলেমে দীন মাওলানা আবদুল জব্বার শুক্রবার (১৮ নভেম্বর’১৬) সকাল ১০টা ১০মিনিটে হলি ফ্যামেলি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। ইন্নানিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
মাওলানা আবদুল জব্বার এদেশে ইসলামী শিক্ষা প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে গেছেন। তিনি বাংলাদেশের শীর্ষ আলেমগণের অন্যতম। তার বিয়োগে ব্যথিত দেশের সকল ইসলামপ্রিয় মানুষ। তার অনুপস্থিতি পূরণ হওয়ার মত নয়। বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই তিনি এর সাথে পরিপূর্ণভাবে জড়িত ছিলেন। জীবন সায়াহ্নে এসে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার পূর্ব পর্যন্তও তিনি বেফাকের মহাসচিবের মত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।
ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল ইসলাম আল-আমীন, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি জি. এম. রুহুল আমীন ও সেক্রেটারি জেনারেল শেখ ফজলুল করীম মারুফ মাওলানা আবদুল জব্বার-এর ইন্তেকালে এক বিবৃতিতে উপরিউক্ত কথাগুলো বলেন।
মাওলানা আবদুল জাব্বার দীর্ঘদিন ধরে কিডনি সমস্যা, ডায়বেটিকস ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। হলি ফ্যামেলি হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। তিনি ৪ মেয়ে, স্ত্রী, ৪ ভাই ও ১ বোন রেখে গেছেন। ৫ ভাইয়ের মধ্যে মাওলানা আবদুল জব্বার দ্বিতীয়। ১৯৩৭ সালের বাগেরহাট কচুয়া থানার সহবতকাঠি গ্রামের সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
মাওলানা আবদুল জাব্বার ছিলেন কাজী মুতাসিম বিল্লাহ (রহ.)-এর স্নেহধন্য ছাত্র। লেখালেখিতেও মরহুমের অবদান রয়েছে। তার প্রকাশিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে- ইসলাম ও আধুনিক প্রযুক্তি, মাদরাসা শিক্ষার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র, ভারত উপমহাদেশে মুসলিম শাসন ও তাদের গৌরবময় ইতিহাস, ইসলামে নারীর অধিকার ও পাশ্চাত্যের অধিকার বঞ্চিতা লাঞ্ছিতা নারী প্রভৃতি।
নেতৃবৃন্দ মাওলানা আবদুল জব্বার-এর ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, জাতি একজন দীনের রাহবারকে হারালো। তিনি এমন সময় বিদায় নিলেন যখন শিক্ষা ক্ষেত্রে বিভিন্ন সংকট চলছে। বিশেষ করে কওমি অঙ্গনে স্বীকৃতিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে তার মত নিরপেক্ষ ও দক্ষ সংগঠকের অনুপস্থিতি আমাদেরকে মহা শুন্যতায় ফেলে দিয়েছে। আল্লাহ মরহুমকে জান্নাতে উচু মাকাম দান করুন এবং তার রেখে যাওয়া পরিবার-পরিজনকে ধৈয্য ধারণ করার তাওফিক দান করুন। সাথে সাথে দীনের এই উজ্জ্বল নক্ষত্রের অভাব পূরণ করুন।