এদেশের তাওহিদী জনতার দাবি ছিল সুপ্রীম কোর্ট প্রাঙ্গন থেকে মূর্তি অপসারণ করা। সরকার তা উপলব্ধি করতে পেরে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কিন্তু জনবিচ্ছিন্ন একদল বামপন্থি মূর্তি অপসারণে যে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছে তা কোনভাবেই সহ্য করার মত নয়।
আজ শুক্রবার বিকাল ৩টায় জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্ত্বরে মূর্তি অপসারণে বামদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে ইশা ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি জি. এম. রুহুল আমীন উপর্যুক্ত কথা বলেন।
বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে বক্তারা বলেন, অনেক আন্দোলন সংগ্রামের পর সুপ্রীম কোর্ট প্রাঙ্গন থেকে মূর্তি অপসারণ করা হয়েছে। ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই গ্রিক মূর্তি বাংলাদেশের কোথাও প্রতিস্থাপন করা না হয়। আর মূর্তির বিষয়ে বামপন্থিরা যেভাবে উশৃঙ্খল আচরণ শুরু করেছে তা কোনভাবেই মেনে নেয়া হবে না। আমরা লক্ষ্য করেছি দেশের সংকটময় সময় যখনই অতিক্রম করে উত্তরণের পথ সৃষ্টি হয়েছে তখনই এই জনবিচ্ছিন্ন বামপন্থীরা জাতিকে বিভক্ত করার জন্য মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে আসে।
বক্তারা আরো বলেন, মূর্তি নির্মাতা মৃণাল হক ঢাকাকে মূর্তির নগর বানাতে চায় যা গতকাল রাতে তার বক্তব্য থেকে স্বল্প গেছে। তাই সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমাদের দেশ থেকে এই কুলাঙ্গারকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। বক্তারা যেখানে যারা মূর্তির পক্ষে কথা বলবে সেখানেই তাদের প্রতিহত করার ঘোষণা দেন।
কর্মসূচি-
আগামীকাল ২৭ মে’১৭ সারাদেশে মূর্তি ইস্যুতে বামপন্থিদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল।
অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শাইখ ফজলুল করীম মারুফ, সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম, জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল মুহা. হাছিবুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস.এম. এমদাদুল্লাহ ফাহাদ, তথ্য-গবেষণা ও প্রচার সম্পাদক মুহা. ইলিয়াস হাসান প্রমুখ।