সংবাদ/বিবৃতি

The superiority of Muslims remain in” establishing truth and resisting against injustice”. It is a holy duty for a Muslim to do this work with his/her level best . Especially, students are perfect soldiers for this work. That is why, students are active and effective manpower of a country and a nation.

আজ ১৪ এপ্রিল’২০ইং মঙ্গলবার ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি এম. হাছিবুল ইসলাম এবং সেক্রেটারি জেনারেল ন‚রুল করীম আকরাম এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, সাম্প্রতিক করোনা সৃষ্ট বিপর্যয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ত্রাণের চাল চুরির সাথে জনপ্রতিনিধি এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীর জড়িত থাকার সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, যা দেশের ইতিহাসে সর্বনিকৃষ্ট ঘটনা বলে মনে করছি। দেশের এই ক্রান্তিকালেও যারা চালের লোভ সামলাতে পারেনা, তারা তারা হিংস্র পশুতুল্য।

নেতৃদ্বয় আরো বলেন, গত ৩০ মার্চ থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত ১১ দিনের ব্যবধানে প্রায় তিন হাজারের অধিক বস্তা সরকারি ত্রাণের চাল চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। তথ্য অনুযায়ী এ পর্যন্ত ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে একই দিনে ওএমএস ও ভিজিডির ৬৩০ বস্তা চাল জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া বড় আকারের চাল জব্দ করা হয়েছে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় ৫৫০, যশোরের মণিরামপুরে ৫৫৫, নওগাঁয় ৩৩৮, সারিয়াকান্দি উপজেলায় ২৮৮, সিলেটে ১২৫, বগুড়ার দুই উপজেলায় ২০০, রংপুরের পীরগঞ্জে ৯০, যশোরের শরহতলীতে ৮০, মাদারীপুরের শিবচরে ৬৮, কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে ৬০ বস্তা, ঝালকাঠিতে ৫০, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ২০, বাগেরহাটে ১৮, পটুয়াখালীতে ১০, ময়মনসিংহের ত্রিশালে ১৬, বগুড়ার শিবগঞ্জে ১৩, নাটোরে ১৩, জয়পুরহাটে ৭ বস্তা চাল চুরির খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া প্রতিনিয়িত চাল চুরি অথবা বিক্রির জন্য মজুদ রাখার খবরও পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিটি চাল চুরির পেছনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি অথবা ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীর নাম এসেছে। এ যেন চাল চুরির এক মহোৎসব চলছে।

নেতৃদ্বয় আরো বলেন, ইতোপ‚র্বেও এই রাষ্ট্র চুরির বৈধতা দিয়ে এসেছে। দেশবাসী দেখেছে রূপপুরের বালিশকাÐ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের পর্দাকাÐ। যেখানে একটি পর্দা কিনতে ৩৭ লাখ টাকা জালিয়াতির ঘটনাও ঘটেছে। রাষ্ট্রের দায়িত্ব এখন চুরি-ডাকাতির হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে।

বর্তমানের এই চাল চুরি নিছক কোন স্বাভাবিক ঘটনা নয়। দীর্ঘদিনের রাষ্ট্রীয় দুর্বৃত্তপনার বহিঃপ্রকাশ মাত্র। কোন দেশে মহামারী, প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকেও বড় বিপর্যয় নেমে আসে রাষ্ট্রযন্ত্রকে দ‚র্বৃত্তপনায় ব্যবহার করার ফলে। এই দুর্বৃত্তায়ন ও সীমাহীন লুটের কবলে পড়ে বাংলার মানুষ সাক্ষী হয়েছে ১১৭৬ এর দুর্ভিক্ষ, ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষ ও সর্বশেষ স্বাধীন দেশে ১৯৭৪ সালের মর্মান্তিক দুর্ভিক্ষের। বর্তমানে করোনায় সৃষ্ট বিপর্যয়ে রাষ্ট্রীয় দস্যুদের দখলদারিত্ব ও দুর্বৃত্তায়নে দেশ আবারো দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছে।

তাই দেশমাতৃকাকে বাঁচাতে ও রাষ্ট্রীয় দুর্বৃত্তায়ন থেকে দেশকে মুক্ত করতে বাংলা নববর্ষের প্রথম প্রহরে দঢ় শপথ নিতে হবে। সাথে সাথে অনতিবিলম্বে সাধারণ মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত ত্রাণ সেনাবাহিনী স্থানীয় প্রশাসনের অংশীদারিত্বে সুষম ও সুষ্ঠু বন্টনের দাবি জানান নেতৃদ্বয়।

বার্তা প্রেরক

কে.এম. শরীয়াতুল্লাহ
কেন্দ্রীয় প্রচার ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক
ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন

সম্পর্কিত কার্যক্রম

সম্পর্কিত কার্যক্রম

সদস্য ফরম

নিচে তথ্যগুলো দিয়ে পাঠিয়ে দিন