আ: রাজ্জাক সাহেব রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের যেই সুযোগের অপেক্ষা করছেন, সে সুযোগ আর কখনো হবে না। এদেশের মানুষ মুসলামান। আর মুসলামান হিসেবে এই জাতির আত্মপরিচয় এখন সুসংহত। সুসংহত আত্মপরিচয়সম্পন্ন জাতি আপনাকে সেই সুযোগ কখনো দেবে না। অপরাধীরা যেমনি অপরাধের সুযোগ খোজে তেমনি আ: রাজ্জাক সাহেবের সুযোগ খোজার বক্তব্য প্রদানে জাতি হতবাক হয়েছে।
আজ ১৩ নভেম্বর’১৬ ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি জি.এম. রুহুল আমীন এবং সেক্রেটারি জেনারেল শেখ ফজলুল করীম মারুফ এক যৌথ বিবৃতিতে উপরিউক্ত কথা বলেন।
নেতৃদ্বয় বলেন, এই রাষ্ট্রের ৯০ শতাংশ জনগণের ধর্ম ইসলাম। সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম লেখা না থাকলেও এই দেশের ধর্ম ইসলাম। তবে সংবিধানে সংযোজনের পর এটিকে বাদ দিলে- দেশের অধিকাংশ জনগণ এবং ইসলামকে অবমাননা করা হবে, ইসলামকে বিনাশ করার পথ সুগম হবে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হবে। কারণ ইসলামের মত পরধর্মসহিষ্ণুু, ভ্রাতৃত্ব রক্ষায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ও বিশ্বজনীন ধর্ম রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে স্বীকৃত থাকার ফলেই বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসেবে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে। অতএব যারা রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলতে চান তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, আমরা হতবাক হই এমন একজন জাহেল ব্যক্তি কীভাবে আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হন! যিনি অধিকাংশ জনগণের ভাষা বোঝেন না। তিনি কীভাবে অধিকাংশ জনগণের আদর্শকে ধ্বংস করা কথা বলেন? সাম্প্রতিক সময়ে বি-বাড়িয়ার নাসিরনগর ও গাইবান্ধায় সংখ্যালঘুদের উপর হামলার সকল তথ্য-প্রমাণ প্রকাশিত হওয়ার পর ঘটনাকে দামাচাপা দেয়ার জন্য দুষ্কিৃতিকারীরা মরিয়া হয়ে উঠেছে। এই বক্তব্য তারই অংশবিশেষ। আমরা সরকারকে বলব এ সকল ষড়যন্ত্রকারীদের নিয়ন্ত্রণ করুন। সকল সম্প্রদায়কে যথাযথ মর্যাদা দিতে শিখুন।