দারসুল হাদিস
হযরত যায়েদ ইবনে সাবিত (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উহুদের উদ্দেশ্যে রাসূল সা. বের হলে যার তার সঙ্গে বের হয়েছিল তাদের কিছু সংখ্যক লোক ফিরে এল (শীর্ষ মুনাফিক আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ও তার ৩০০ সাথী বাহানা করে ফিরে এসেছিল)। নবী আকরাম সা.-এর সাহাবীগণ তাদের সম্পর্কে (বায়গতভাবে) দু’দলে বিভক্ত হয়ে পড়েন। একদল বললেন আমরা তাদের সাথে লড়াই করব। অপর দল বললেন, আমরা তাদের সাথে লড়াই করব না। (অর্থাৎ এ দ্বিতীয় দল তখন পর্যন্ত তাদের (আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই-এর দলের) কুফরী ও মুনাফিকীতে দাদুল্যমান ছিল)। এ সময় নাযিল হয় নি¤œবর্ণিত আয়াত-
“তোমাদের কী হল যে, তোমরা মুনাফিকদের ব্যাপারে দু’দল হয়ে গেলে, যখন তাদের কৃতকর্মের দরুন আল্লাহ তাদেরকে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে দিয়েছেন।”
এরপর নবী করিম সা. বললেন, “এ (মদীনা) পবিত্র স্থান। আগুন যেমন রুপার ময়লা দূর করে দেয়। এমনিভাবে মদীনাও গুনাহকে দূর করে দেয়।”
হাদীসের প্রেক্ষাপট
রাসুলে আকরাম সা. উহুদের যুদ্ধের জন্য যে পরামর্শ করেছিলেন তাতে মুনাফিকগণও রাসূল সা. এর ব্যক্তিগত মত (মদীনার বাইরে না যাওয়া) এর পক্ষে ছিল কিন্তু অধিকাংশ সাহাবী বিশেষত যারা বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারেন নি তাদের বার বার অনুরোধে তিনি সা. মদিনার বাইরে গিয়ে যুদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন এবং সশস্ত্র অবস্থায় বেরিয়ে পড়েন। ফলে মুনাফিক সর্দার আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই তাদের পরামর্শ না মানার অজুহাতে ৩০০ সঙ্গী নিয়ে মদিনায় ফিরে চলে আসে।
হাদীসের ব্যাখ্যা
আলোচ্য হাদীস খানায় উহুদের যুদ্ধ পূর্বাবস্থা আলোচিত হয়েছে। মক্কার কাফিরগণ যখন বদর যুদ্ধে তাদের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে নতুন যুদ্ধাযজন সম্পন্ন করত মদিনার দিকে অগ্রসর হচ্ছিলেন, তখন রাসূল সা. মদিনার সাহাবা (রা) দের নিয়ে পরামর্শের ব্যবস্থা করলেন। পরামর্শ সভায় সাহাবা আজমাইলগণ দুটি মত প্রকাশ করলেন। একদল মদিনায় থেকে যুদ্ধ পরিচালনা করা বা মদিনার বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিলেন। ¯^য়ং রাসূল সা. ছিলেন এই মতের। এছাড়া বিজ্ঞ ও বিশিষ্ট সাহাবা (রা) গনও এই মতের পক্ষে ছিলেন। পক্ষান্তরে যুবক সাহাবা (রা) গন বিশেষ করে যারা বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণের মত বরকতময় সুযোগ থেকে বঞ্চিত ছিলেন তাদের মত ছিল মদিনার বাইরে গিয়ে যুদ্ধ করা। এই ২য় শ্রেণীর মাঝে ঈমানি জববা, শাহাদাতের তামান্না ও দ্বীনকে বিজয়ী হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার তামান্না খুব বেশী করে প্রকাশিত হচ্ছিল। ফলে তাদের প্রবল আগ্রহ ও আবেগকে প্রাধান্য দিয়ে রাসূল সা. মদিনার বাইরে গিয়ে যুদ্ধ করার সিধান্ত গ্রহণ করেন। এবং সশস্ত্র অবস্থায় বেরিয়ে পরেন। অপর দিকে মুনাফিক সর্দার ইব্দুল্লাহ ইবনে উবাই এর মত ছিল বিজ্ঞ সাহাবীদের অনুরুপ। অর্থাৎ মদিনায় থেকে যুদ্ধ করা। ফলে তিনি যুদ্ধের জন্য মদিনা থেকে বের হয়েও তার পরামর্শ না মানার অযুহাতে ৩০০ সঙ্গি নিয়ে পুনরায় মদিনায় ফিরে আসেন। প্রশ্ন হল এই রঈসুল মুনাফিক মদিনায় থাকাবস্থায় কেন নিজেকে যুদ্ধ থেকে প্রত্যাহার করলেন না। মূলত তার উদ্ধেশ্য ছিল মদিনা থেকে বের হওয়ার পর ভিন্ন পরিস্থিতিতে মুসলিম বাহিনীর মাঝে বিশৃংখলা তৈরী করা এবং বিশাল সংখ্যক সঙ্গি নিয়ে মদিনায় ফিরে এসে মুসলমানদের মনবল ভেঙ্গে দেওয়া। নি¤œক্ত আয়াতে বিষয়টি স্পষ্ট। যাতে বনু সালেম ও বনু হারেসার হিম্মত হারানোর ব্যাপারটি প্রকাশ করা হয়েছে।
এ ছাড়াও অনেক এর মতেই তার সাথে কুরাইশ কাফিরদের সাথে গোপন যোগাযোগ ছিল। ফলে মুসলমানদের পরাজয় কামনাকারী এ মুনাফিক কুরাইশদের প্রস্তুতি যেনেই মুসলমানদের সঙ্গ ত্যাগ করেন। তার উদ্দেশ্য ছিল মুসলমানদের পরাজয় নিশ্চিত করতে মক্কার কুরাইশদের সহযোগিতা করা। কুরাইশদের বিশাল সামরিক প্রস্তুতি তাকে মুসলমানদের পরাজয়ের ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছিল। মদিনায় ফিরে এসে রাসূল সা. কে মদীনায় প্রবেশ করতে না দেওয়ার দম্ভোক্তিও তার প্রমান বহন করে। যাই হোক এই দলটি যখন যুদ্ধ থেকে ফিরে আসে, তখন তাদের ব্যাপারে ফায়সালা কী হবে এ ব্যাপারে মুসলিম বাহিনী দুটি দলে বিভক্ত হয়ে যায়। একদল এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে তার ইসলাম থেকে খারিজ হয়েছে। ফলে যুদ্ধই তাদের সাথে শেষ ফায়সালা। অপর দল তখনও তাদেরকে মুসলিম ভাবতে যাকে। ফলে তাদের সাথে যুদ্ধ করা বা তাদের হত্যা করা বৈধ মনে করেনি।
আজ আমরা হাদীস অধ্যয়নে তাদের মুনাফিক হওয়ার বিষয়টি যতটা সহজে অনুধাবন করছি, বিষয়টি ততটা সহজ ছিল না। কারণ এই তিনশত ব্যক্তি মদিনারই অধিবাসী। তারা কোন না কোনভাবে মুমিনদের সাথে রক্তের সম্পর্কে যুক্ত। ¯^য়ং আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই এর সন্তান ছিল খালেছু মুমিন। আল্লাহ ও তার রাসূল সা. এর পক্ষ থেকে কোন স্পষ্ট ফায়সালাও ছিলনা। ফলে তারা দ্বিধা বিভক্ত হওয়াটাই ছিল ¯^াভাবিক। এ অবস্থায় অবতির্ণ হলো আল্লাহর বানী
এ আয়াত অবতির্ণের মাধ্যমে তাদের ব্যাপারে ফায়সালা হয়ে গেল। তাদের ব্যাপারে আল্লাহ ও তার রাসূল সা. এর অবস্থান স্পষ্ট হল। কিন্তু মুসলিম বাহিনীর সামনে চ্যালেঞ্জ এসে উপস্থিত হলো-
১. কুরাইশদের তুলনায় খর্বাকৃতির বাহিনী নিয়ে ইসলাম নামক বৃক্ষটিকে বাচিয়ে রাখার চ্যালেঞ্জ। কারণ কুরাইশদের অভিপ্রায় ছিল ইসলামকে পৃথিবী থেকে চিরতরে বিলীন করা।
২. মুসলিম বাহিনীর সামনে উপনিত হল নতুক আরেক আত্মযুদ্ধ। যা রক্ত সম্পর্কের শক্তির বিরুদ্ধে ঈমানি শক্তির। পৃথিবীর ইতিহাস প্রমান করে এই যুদ্ধ সবচেয়ে মারাত্মক। অসংখ্য বীর যোদ্ধা বহিরযুদ্ধ। বিজয়ী হলেও এ যুদ্ধে পরাজিত হয়ে পৃথিবীর বুকে বিকৃত হয়ে আছেন। হযরত নূহ (আঃ) ও আল্লাহর নির্দেশ পাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত নিজ ঔরসজাত কাফির সন্তানকে নিজের আহাল বলে নৌকায় তোলার চেষ্টা করেছিলেন।
৩. এহেন পরিস্থিতিতে মদিনায় রেখে আসা তাদের সন্তান-সন্ততি ও আত্মি-¯^জনদের ব্যাপারে শংকিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ ছিল। কারন উহুদ যুদ্ধে মুসলমানদের পরাজয়, তাদের নিকট আতিœয়দেরকে চরম সংকটে ফেলবে বিষয়টি দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট ছিল।
৪. একটি বিমাল মুনাফিক বাহিনীর মদিনায় অবস্থান নবগঠিত মদিনা রাষ্ট্রের স্থায়িত্ব ও নিরাপত্তার ব্যাপারটিকে সংকটাপন্ন করে তোলে। পরবর্তি খন্দক যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলে বিষয়টি স্পষ্ট হয়।
হাদিসটির শেস এবারতে মদিনা নগরির একটি বিশেষ গণ বর্ণনা করত রাসূলে আকরাম সা. মুনাফিকদের ওপর মুসলিম বাহিনীর সম্ভাব্য যুদ্ধ অথবা তাদেরকে মদিনা থেকে বিতারিত করার পথ রুদ্ধ করে দেন। অথবা বলা যেতে পারে হাদীসের শেষ এবারতের মাধ্যমে আল্লাহ ও তার রাসূল সা. এর পকষ থেকে মুনাফিকদের সর্বশেষ সুযোগটি প্রদান করা হয়। যা মদিনা রাষ্ট্রের সংবিধান-মদিনা সনদ বা পৃথিবীর তাবৎ যুদ্ধনীতি কোন যুক্তিতেই তারা প্রাপ্য ছিল না। এটা তারা এ জন্যই প্রাপ্ত হয়েছেন যে, আমাদের প্রিয় নবী সা. ছিলেন বিশ্বজগতের তরে অপার রহমতের প্র¯্রবনধারা।
হাদীসের আলোকে দীন বিজয়ের সৈনিকদের জন্য কিছু কথা
ইসলামী আন্দোলনের সৈনিকদের জন্য হাদীসটিতে নি¤েœাক্ত শিক্ষা বিদ্যমান-
১. ইসলামী আন্দোলনের সৈনিকদের হিম্মত হারানোর কোন সুযোগ নেই। কারণ জয় পরাজয় উভয় অবস্থায় মুমিন বিজয়ী। জয় যেমন তার আবাধ্য পরাজয়ে শাহাদাতের অমীয় শুধাও তার পরম প্রাপ্তি। জান্নাতের সবুজ পাখি হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ। বিনা হিসেবে জান্নাতুল ফেরদৌসে প্রবেশের মত মহা সাফল্য।
২. সকল অবস্থায় ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের আল্লাহর উপর নির্ভর করতে হবে।
৩. ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের সর্বাগ্রে আত্মিক পরিশুদ্ধিতা জরুরী। কারণ উহুদের যুদ্ধে মুনাফিক দল সার্বিক পরিস্থিতিতে হিম্মত হারানোর কথা বলে ও যুদ্ধ থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে। আবার বনু সালিম ও বনু হারিসাও হিম্মত হারায়। কিন্তু দুটি দলের ব্যাপারে আল্লাহর ফায়সালা ভিন্নরুপ। কাণ এক দলের অন্তকরণে ছিল নেফাকি। তারা গোপনে ইসলামের ধ্বংস কামনা করছিল। অপর দল মুমিন ছিলেন কিন্তু সার্বিক পরিস্থিতি চিন্তায় ভীত ছিলেন।
৪. আন্দোলনের কোন বিষয়ের উপর আলোচনার সময় যতই বিভেদ বা ভিন্ন মতের সৃষ্টি হোক না কেন, আমীর সিদ্ধান্ত প্রদান করার পর (সিদ্ধান্ত শরিয়াহ এর সাথে বিরোধপূর্ণ না হলে) তা মেনে নেওয়া, সিদ্ধান্তের পক্ষে দৃড়দার সাথে অবস্থান গ্রহণ, সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রানপাত করে চেষ্টা করা ও সিদ্ধান্তের ফলাফল কল্যানকর হওয়ার জন্য দোয়া করা আবশ্যক।
৫. সংগঠনের কোন সিদ্ধান্ত ভালো ফলাফল বয়ে না আনলেও সে ব্যাপারে প্রশ্ন তোলা ও নেতৃত্বের সমালোচনা করা অনুচিত। বরং আরও কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণে নেতৃত্বকে পরামর্শ দান, উদ্বুদ্ধ করণ ও সাহজ জোগাতে হবে। এরুপ না হলে নেতৃত্ব নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভীত হতে বাধ্য। কারণ যে কোন নতুন সিদ্ধান্তের ফলাফল ভাল-মন্দ উভয়ই হতে পারে। রাসূল সা. এর হাদিস প্রমান করে গবেষণাকৃত কোন বিষয়ে গবেষক ভ’ল সিদ্ধান্ত নিলে একটি সাওয়াব। তাই এখানে নিন্দার স্থান নেই তবে সতর্কতার আবশ্যকতা বিদ্যমান।
৬. আপন পরামর্শ বাস্তবায়নে নেতৃত্বকে এককভাবে বা দলগতভাবে বাধ্য করার চেষ্টা ইসলামী আন্দোলনকে ধ্বংস করার নামান্তর।
৭. ইসলামী আন্দোলন কোন ব্যক্তির সেচ্ছাচারিতার স্থান হতে পারেনা। আল্লাহর রাহের মুজাহিদদের ঐকান্তিক আগ্রহকে প্রাধান্য দিয়ে রাসূল সা. নিজের মতের বিপরীত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ইসলামে শুরা ব্যবস্থায় গুরুত্ব প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
৮. ইসলামী আন্দোলনের ক্ষেত্রে ব্যক্তি¯^ার্থের চিন্তা নেফাকির আলামত।
৯. সংগঠনে নাম লিখানো সকলকেই ইসলামের একনিষ্ঠ সৈনিক ভাবা অমূলক। কারণ আল্লাহর রাসূল সা. গঠনকৃত উহুদ বাহিনীর ১,০০০ সদস্য এর মধ্যে ৩০০ মুনাফিক এর উপস্থিতি প্রমান করে ইসলামী আন্দোলনে ভিতরগত ও বহিরাগত উভয় শত্রæদ্বারা যে কোন মূহুর্তে আক্রান্ত হতে পারে। বাহ্য দৃষ্টিতে সে শত্রæ ইসলামী আন্দোলনের অতি সুপরিচিত মুখও হতে পারে।
১০. ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের একটি অত্যাবশ্যকীয় গুন হলো সংগঠনে সু-সময় ও দু-সময় উভয় অবস্থায় আল্লাহর সাহায্যের উপর ভরসা রাখা। আল্লাহর সাহায্যের আশায় ব্যকুল থাকা। আল্লাহর পক্ষ থেকে বিজয় আসা পর্যন্ত দৃঢ় পদে এস্তেকমাত থাকা।
১১. ইসলামী আন্দোলন এর কোন সিন্ধান্ত বাস্তবায়নের পদ্ধতি নির্বাচনে কর্মী বাহিনীর প্রবল আগ্রহকে অগ্রাধিকার দেয়া যেতে পারে। যা কর্মীদের উজ্জীবিত করবে।
১২. ইসলামী আন্দোলনের পরামর্শ সভার সদস্যগণ ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন হওয়া জরুরী। জো-হুজুরী সদস্যগণ সংগঠনের জন্য ক্ষতিকর। তারা আনুগত্য প্রকাশের নামে আমীরের ভূল চোখে পড়লেও ধরিয়ে দেন না। ফলে সংগঠন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ধরনের লোক গুলোর আর একটি ¯^ভাব হলো এরা যেমন তার সিনিয়র এর সামনে মেকি আনুগত্য করে তেমনি তার অধস্তনদের কাছ থেকে অকল্পনীয় আনুগত্যতা দাবি করে। কোন ব্যাপারে তার থেকে ভিন্নমত প্রকাশকারীকে সহ্য করতে পারেনা। আবার এরা যেহেতু হুজুরের মতে অমতকার “ধরণের লোক” তাই এদের কাছ থেকে সংগঠনের জন্য নতুন কিছু আশাও করা যায় না।
১৩. সংগঠনের কোন সদস্যদের কাছ থেকে নেফাকি প্রকাশিত হলে তাকে সংগঠনের দায়িত্ব থেকে দূরে রাখা আবশ্যক।
১৪. হাদিসটি একথা প্রমান করে যে, রাসূল সা. আলিমুল গায়েব নয়। আল্লাহই আলিমুল গাইব। রাসূল সা.-কে আল্লাহ যতটুকু জানাতেন তিনি ততটুকুই জানতেন।