ইশা ছাত্র আন্দোলন-এর ২৫ বছর পূর্তিতে সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা নেয়ামতুল্লাহ আল-ফরিদী-এর অনুভূতি
মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে শতকোটি শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি যিনি আমাদেরকে দ্বীন-ইসলামের মতো মহান নিয়ামত দান করছেনে। দরুদ ও সালামে হাদিয়া প্রেরণ করছি সায়্যিদুল আম্বিয়া হযরত মুহাম্মাদ মুস্তফা সা. এর প্রতি; যাঁর সংস্পর্শে পাপ-পঙ্কিলতায় পূর্ণ মানুষগুলো সোনার মানুষে পরিণত হয়েছে। জাহিলিয়াতের কালো চাদের আচ্ছাদিত সমাজ পেয়েছে মুক্তির দিশা।
১৯৯১ এর আগষ্টে এদেশের ইতিহাসে নতুন করে স্থান করে নেয় নতুন এক ছাত্র সংগঠনের নাম। কাল পরিক্রমায় সে সংগঠনটি এখন ২৫ বছর বয়সে উপনীত। সময়টা খুব কম নয়। এ বয়স পরিবর্তন করার বয়স। নতুন করে ভাববার বয়স। যে বয়স হার মানে না। যে বয়স বাঁধা মানে না। আমরা একটি প্রতিক‚ল পরিবেশে কাজ শুরু করেছিলাম। তখন একদিকে ছাত্র রাজনীতি চরমভাবে কলুষিত, অপরদিকে জাতীয় রাজনীতিতে ইসলাম কৌশলগতভাবে উপেক্ষিত। বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক ইসলাম ষঢ়যন্ত্রের শিকার। তাই সময়টা কে প্রতিকূল বলতেই হয়। তবে বাস্তব সত্য কথা হল, বিজয়ের পথে মুমিনের পরিবেশ কখনও বাধা নয়। ভয়-শঙ্কা এগুলো তুচ্ছ বিষয়। তাইতো বিগত ২৫ বছরে ইসলামী শাসনন্ত্র ছাত্র আন্দোলন থমকে দাঁড়ায় নি।
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ঘোষণ করেছেন “যারা ইমান আনে, নেক আমল করে আমি অবশ্যই এই পৃথিবীতে তাদের কে শাসন ক্ষমতা দান করবো” ঘোষনাটি শ্রুতিমধুর। কিন্তু আজকের পৃথিবীর বাস্তবতা হল, শাসনক্ষমতা ইমানদারদের হাতে নেই। অতএব বুঝতে হবে আল্লাহ প্রদত্ত এই নিয়ামত আমরা গ্রহণ করতে পারছিনা। তাই ঈমান, আমল অথবা পদ্ধতিগত সমস্যাই এখানে ধর্তব্য। অতএব বিশ্ব-মুসলিমের নতুন করে ভাবতে হবে। আত্মপরিচয়ের সন্ধান করতে হবে। বিশ্বসভ্যতায় নিজেদের পরিচয় তুলে ধরতে হবে নতুন করে। আমরা অকপটে বলতে পারি- ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন আত্মভোলা মুসলিম উম্মাহর হারানো ঐতিহ্য বিশ্বের সামনে তুলে ধরবে নতুন উচ্চতায়। আমরা সেদিনের অপেক্ষায়। ২৫ বছরের এই পুনমিলনী সমাবেশ হোক জাতীয় সংহতি সৃষ্টি ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণের মাধ্যম। এই হোক আমাদের কামনা।