সংবাদ/বিবৃতি

The superiority of Muslims remain in” establishing truth and resisting against injustice”. It is a holy duty for a Muslim to do this work with his/her level best . Especially, students are perfect soldiers for this work. That is why, students are active and effective manpower of a country and a nation.

sromik

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর ও ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেছেন, এদেশের প্রায় ৮০ভাগ মানুষ শ্রমজীবী। শ্রমিকগণই হল সভ্যতা ও উন্নয়নের কারিগর। শ্রমিকদের হাড়ভাঙ্গা খাটুনি ও ঘাম জড়ানো কষ্টের বিনিময়ে মালিকরা লাভবান হয়। শ্রমিকদের শ্রম না থাকলে উন্নয়নের চাকা বন্ধ হতো। অথচ শ্রমিকদের সবসময় অবহেলা করা হয়। তারা অসুস্থ হলে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে চাকুরী থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। সময়মত শ্রমিকদের পাওনা না দেয়া অনেক মালিকদের স্বভাবে পরিণত হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের বাইরে অতিরিক্ত শ্রমের মজুরী অনেক মালিকরা দিতে চান না। অথচ তাদের পাওনার কথা বলতে গেলে শুরু হয় শ্রমিক নির্যাতন। উপযুক্ত পারিশ্রমিকের অভাবে অনেক শ্রমিক মানবেতর জীবন যাপন করছে। আবার অন্যদিকে তুচ্ছ কারণে কতিপয় উশৃঙ্খল নামধারী শ্রমিক কারখানা ভাঙচুরসহ জ্বালাও-পোড়াও শুরু করে। সকল অনিয়ম, বিশৃঙ্খল ও অনগ্রসরতার পেছনের কারণ একটাই আর তা হল- ইসলামী শ্রমনীতি না থাকা।

তিনি বলেন, ইসলামী শ্রমনীতিতে – মালিক-শ্রমিক ভাই ভাই। মালিকরা শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরী সময়মতো পরিশোধ করলে শ্রমিকরা মালিকের প্রতিষ্ঠানকে নিজের মত করে ভালবাসবে। ফলে মালিকের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হোক কোনো শ্রমিকই তা চাইবেনা। কথায় কথায় শ্রমিক ছাঁটাইয়ের মানসিকতা থেকে মালিকদের বের হয়ে আসতে হবে। তাই মালিক-শ্রমিক উভয়ের স্বার্থ রক্ষায় ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প নেই।

শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে গুলিস্থানের কাজী বশির মিলনায়তনে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন আয়োজিত কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পীর সাহেব চরমোনাই এসব কথা বলেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়ামের অন্যতম সদস্য ও ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের উপদেষ্টা মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মুফতি সৈয়দ মু. ফয়জুল করীম, ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, সহকারী মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমানসহ আন্দোলন নেতৃবৃন্দ।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, হারুন-অর-রশিদ, গোলাম মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক মোস্তফা কামাল, রফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, নগর সভাপতি ফখরুল ইসলাম ও সেক্রেটারী সৈয়দ ওমর ফারুকসহ বিভিন্ন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। বক্তব্য রাখেন, রংপুর, খুলনা, চট্রগাম, বরিশাল, সিলেট, গাজীপুরসহ সারাদেশ হতে আগত বিভিন্ন জেলার নেতৃবৃন্দ।

কেন্দ্রীয় সভাপতি আশরাফ আলী আকন তার উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, শ্রমিকদের দুর্বলতা ও আন্দোলনের সুযোগে তথাকথিত শ্রমিক সংগঠনগুলো শ্রমদরদী সেজে শ্রমিকদের প্রতারিত করে নিজেদের আখের গুছানোর নেশায় মেতে উঠেছে। এই ধরণের কৃত্রিম শ্রমিকদরদীদের হাত থেকে শ্রমিক অধিকার রক্ষা ও প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ হলো ইসলাম। তিনি আরো বলেন, ইসলামী শ্রমনীতির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের মধ্যেই নিহিত রয়েছে শ্রমজীবি মানুষের মুক্তির গ্যারান্টি। এ লক্ষ্যে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন সারাদেশে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চায়- বিদ্যমান ঘুনেধরা জরাজীর্ণ শ্রমনীতির বেড়াজাল থেকে শ্রমিকদের মুক্ত করে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ শ্রমনীতি তথা ইসলামী শ্রমনীতির ভিত্তিতে মালিক-শ্রমিক সুসম্পর্ক স্থাপন, উৎপাদনমুখী কার্যক্রম পরিচালনা করে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা।

কাউন্সিল শেষে প্রধান অতিথি বিদ্যমান কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে আগামী ২০১৬-২০১৮ সেশনের জন্য সভাপতি হিসেবে আশরাফ আলী আকন, সিনিয়ির সহ-সভাপতি আলহাজ আবদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান এর নাম ঘোষণা করেন।

সম্পর্কিত কার্যক্রম

সম্পর্কিত কার্যক্রম

সদস্য ফরম

নিচে তথ্যগুলো দিয়ে পাঠিয়ে দিন