সংবাদ/বিবৃতি

The superiority of Muslims remain in” establishing truth and resisting against injustice”. It is a holy duty for a Muslim to do this work with his/her level best . Especially, students are perfect soldiers for this work. That is why, students are active and effective manpower of a country and a nation.

১৯৯১ সালে ইশা ছাত্র আন্দোলন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বিগত ২৬ বছরের পথচলায় ইশা ছাত্র আন্দোলন জাতিকে কী দিয়েছে? ইশা ছাত্র আন্দোলন কি গতানুগতিক কোনো সংগঠন; যারা ক্ষমতাকেন্দ্রিক কোনো মূল দলের হয়ে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে?
ইশা ছাত্র আন্দোলন বিগত ২৬ বছরে জাতির বিপুল সংখ্যক উদ্যোমী তরুণের মেধা, শ্রম ও সময়কে ব্যবহার করে জাতির কী উপকার করেছে? কেবলই কোনো সংগঠনের ভিত্তি মজবুত করেছে? নাকি সুদূরপ্রসারী কোনো কল্যাণ জাতিকে উপহার দিয়েছে? প্রবন্ধে এই বিষয়টাকেই তুলে ধরার প্রয়াস পাবো, ইনশাআল্লাহ।

1

জাতির প্রতি ইশা ছাত্র আন্দোলন-এর উপহারমালা

উপহার-১ : সহিহ ধারার ইসলামী ছাত্র রাজনীতির প্রবর্তন
এই ভূখণ্ডে ইসলাম এসেছে সেই ১০ম শতকেই। তারও আগে (দিনাজপুরে প্রাপ্ত শিলালিপি অনুসারে) সেই সাহাবা আমলেই ইসলাম এসেছে। এখানে লক্ষণীয় হলো, ইতিহাসের সময়কাল যেটাই হোক ইসলাম এই ভূখণ্ডে এসেছে; হয় ‘সামরিকরূপে’ বা ‘সুফিবাদ’-এর মাধ্যমে। সামরিকরূপে আবির্ভূত ইসলাম এই ভূখণ্ডে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। অনেক ক্ষেত্রেই মুসলিম শাসকদের মাধ্যমে ইসলামের ন্যায়-নীতি ইত্যাদি প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিকভাবে খেলাফত আলা মিনহাজিন নবুওয়াহ প্রতিষ্ঠা হয়নি।

সুফিবাদের ধারক-বাহকেরা সীমাহীন ত্যাগ-তিতিক্ষার মাধ্যমে এই ভূখ-ের প্রান্তে-প্রান্তে ইসলামের সুমহান বাণী পৌঁছে দিয়েছেন। কিন্তু তাদের কর্মপদ্ধতিগত কৌশলের কারণেই তারা প্রাতিষ্ঠানিক খেলাফত প্রতিষ্ঠার দিকে যাননি। সিলেটে হযরত শাহজালাল (রহ.) এবং বাগেরহাটে হযরত খান জাহান আলী (রহ.)-এর কথা মাথায় রেখেই বলা যায় যে, সুফিয়ানে কেরাম এই ভূখণ্ডে খেলাফত প্রতিষ্ঠার কাজ করেননি।

এদেশে ইসলাম আগমনের স্বীকৃত ইতিহাসের পরে ১০০০বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। এই ভূখণ্ডের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ বিগত হাজার বছর ধরে মুসলমান হলেও এই ভূখণ্ডে কোনদিন খেলাফত প্রতিষ্ঠা হয়নি। আরো বিস্ময়কর বাস্তবতা হলো, খেলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য পূর্ণাঙ্গ কোন সংগঠন বা আন্দোলনও গড়ে ওঠেনি। হাজি শরিয়ত উল্লাহ (রহ.)-এর ফরায়েজি আন্দোলন এই ক্ষেত্রে একমাত্র বিকল্প হিসেবে দেখা যায়। তবে প্রকৃত অর্থে সেটা ছিলো, সংস্কার আন্দোলন এবং সাম্রাজ্যবাদবিরোধী আন্দোলন। ১৭৫৭ থেকে নিয়ে ১৯০০ সালের আগে-পরে মুসলমানদের নানা আন্দোলন হয়েছে ঠিক; কিন্তু তার কোনটিই খেলাফত প্রতিষ্ঠার লক্ষে না; সবই ছিলো ইংরেজ বিরোধী আন্দোলন। ১৯৪৭ এর পরে নেজামে ইসলাম পার্টি কিছুটা কাজ করলেও তা জনমনে সাড়া জাগাতে পারেনি। জামায়াতে ইসলামী ও তাদের ছাত্র সংগঠন এক্ষেত্রে কাজ করলেও তারা ইসলামের ভুল ব্যাখ্যার ওপরে প্রতিষ্ঠিত। স্বাধীনতার পরে হযরত হাফেজ্জি হুজুর (রহ.) একটা আলোড়ন তৈরি করলেও তিনি সেটাকে পরিকল্পিত সংঘবদ্ধ সাংগঠনিক কাঠামোতে রূপ দিয়ে যেতে পারেননি।

জাতির এই ঐতিহাসিক শূন্যতা পূরণ করেছে ইশা ছাত্র আন্দোলন। ইশা ছাত্র আন্দোলন খেলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য সুচিন্তিত কর্মসূচি, যুগোপযোগী সাংগঠনিক কাঠামো, সমাজ, অর্থ ও রাষ্ট্র সম্পর্কিত সম-সাময়িক তত্ত্বকে মাথায় নিয়ে ইসলামী মূলনীতির আলোকে ব্যাখ্যা করা, খেলাফতের ধারণাকে সার্বজনীন করা, খেলাফত প্রতিষ্ঠায় গণবিপ্লবের ধারণাকে প্রতিষ্ঠিত করা এবং ছাত্র সমাজের মাঝে খেলাফত প্রতিষ্ঠার আবেদন তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। ইতিহাসের শূন্যতায় ইশা ছাত্র আন্দোলনই এই ভূখণ্ডে খেলাফত আলা মিনহাজিন নবুওয়াহ প্রতিষ্ঠায় পূর্ণাঙ্গ ও কার্যকর ছাত্র সংগঠন।

উপহার-২ : আদর্শ ছাত্র রাজনীতির নবসূচনা
বাংলাদেশে তথাকথিত আদর্শিক রাজনীতির ইতিহাস আছে। এদেশে বামধারার ছাত্র রাজনীতি হয়েছে। মুজিববাদী রাজনীতি হয়েছে। ইসলাম কেন্দ্রিক রাজনীতিও হয়েছে। কিন্তু ’৯০ দশকের শুরুর দিকে এদেশের ছাত্র রাজনীতির অবস্থা ছিলো ভয়াবহ। সেই তুলনায় বর্তমান দেশের ছাত্র রাজনীতি অনেক ভালো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ছাত্র খুন হতো, ক্যাম্পাসে অস্ত্রের মহড়া চলতো, ক্যাম্পাসের আশেপাশের সকল দোকান থেকে চাঁদা আদায় করা হতো। রাজনীতির জন্য ‘লাশ’ ফেলা হতো, হল দখল নিয়ে মারামারি কোপাকুপি হতো। টেন্ডারবাজিই ছিলো ছাত্র সংগঠনের প্রধান অর্থকরি কর্মসূচি। আর বামধারার ছাত্র রাজনীতি পেশি শক্তির ব্যবহারে অক্ষম ছিলো বলে তারা প্রগতিশীলতার নামে ক্যাম্পাসে ব্যভিচারের বিস্তার ঘটাতো, তত্ত্ব চর্চায় নিমগ্ন হওয়ার নামে গাঁজার আসর বসাতো। ইসলামী আদর্শের কথা বলা কোন কোন ছাত্র সংগঠন নিজেদের মধ্যে সুকুমারবৃত্তি চর্চা করলেও ভিন্নমতের প্রতি কঠোরতা করতো। প্রয়োজনে অস্ত্র ব্যবহার করতো। এমতাবস্থায় ইশা ছাত্র আন্দোলন দেশে সুষ্ঠুধারার আদর্শিক ছাত্র রাজনীতির সূচনা করেছে।

উপহার-৩ : নেতৃত্ব তৈরি
শিক্ষার্থী মানে হলো আগামীর সমাজ পরিচালক। ছাত্র অবস্থাতেই অন্যান্য প্রশিক্ষণের মতো করে রাজনীতিরও প্রশিক্ষণ নিতে হয়। অন্যথায় পরবর্তিতে দক্ষতার সংকট তৈরি হয়। দেশের আগামী ইসলামী আন্দোলনকে নেতৃত্ব দিতে ছোটকাল থেকেই ধাপে ধাপে কাজ করে আসা, প্রশিক্ষণ নিয়ে নিয়ে কাজ শিখে আসা নেতৃত্বের প্রয়োজন। এদেশের ইসলামী আন্দোলনে প্রশিক্ষিত নেতা ও কর্মীর অভাব প্রকটভাবেই পরিলক্ষিত। ইশা ছাত্র আন্দোলন এখানে কাজ করেছে। দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন-ওয়ার্ডে বিগত ২৬ বছরে প্রশিক্ষিত একদল নেতা তৈরি হয়েছে। যারা নিরেট ইসলামী চেতনাকে ধারণ করেই বেড়ে উঠেছে। যারা নির্ভেজাল ইসলামী বিপ্লবের স্বপ্নকে নিয়েই বড় হয়েছে। যারা ভেজালমুক্তভাবে ইসলামী আন্দোলন ও বিপ্লবকে সমর্থন করে।

উপহার-৪ : বহুধারার শিক্ষাব্যবস্থার সমন্বয়
বাংলাদেশে ত্রিধারার শিক্ষাব্যবস্থা প্রচলিত। এটা জাতি হিসেবে আমাদের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে। সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিতরা ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ থাকার কারণে বাঙালি মুসলিম জাতিকে নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। অন্যদিকে মাদরাসায় শিক্ষিতরা চলমান জ্ঞান সম্পর্কে অবহিত থাকার কারণে নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে ‘বাঙালি মুসলিম জাতি’ আদর্শ নেতৃত্ব থেকে বঞ্চিত হয়ে দিন দিন অধ:পাতে যাচ্ছিল। ইশা ছাত্র আন্দোলন এখানে কাজ করেছে। আমরা সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিতদেরকে ধর্মীয় জ্ঞানে আলোকিত করেছি। আর মাদরাসা শিক্ষার্থীদেরকে চলমান জ্ঞানে পারদর্শী করেছি। ফলে ইশা ছাত্র আন্দোলন থেকে একদল যোগ্য নেতা তৈরি হচ্ছে।

উপহার-৫ : কওমি অঙ্গনে বিপ্লবী চেতনা জাগ্রত করা
১৮৫৭ এর সিপাহি বিপ্লবের পরে ইংরেজ সাম্রাজ্যবাদি শক্তির নির্মম হত্যাযজ্ঞে যখন ভারত উপমহাদেশ আলেম শূন্য হয়ে যাচ্ছিলো এবং ইংরেজ সমর্থনে দেশের আনাচে-কানাচে ধর্মবিমুখতা ছড়িয়ে পড়ছিলো, তখন দেশে আগামী বিপ্লবের নেতা তৈরি করতেই দেওবন্দ প্রতিষ্ঠা করা হয়। যার লক্ষ্য ছিলো- দীনি জ্ঞানে পূর্ণাঙ্গ জ্ঞানী, আমলে পূর্ণ পরিচ্ছন্ন অন্তর ও সাহসী একদল বিপ্লবী তৈরি করা। সেই লক্ষ্য পূরণে সারা ভারতে হাজার হাজার মাদরাসা গড়ে ওঠে। তবে কালের পরিক্রমায় সেই বিপ্লবী চেতনা খানিকটা ম্লান হয়ে পড়েছিলো। রাজনৈতিক পট-পরিবর্তন, সামাজিক অবক্ষয়, এবং দীর্ঘমেয়াদী কৌশলগত বিচ্ছিন্নতা গোটা কওমি অঙ্গনে এক ধরনের নির্জিবতা তৈরি করেছিলো। ১৯৪০ এর দশকের পরে এই অঙ্গন থেকে উল্লেখযোগ্য কোন বিপ্লবী আন্দোলন হয়নি। আমরা এখানে কাজ করেছি। কওমি অঙ্গনে আদি সেই বিপ্লবী চেতনা পুনরায় জাগ্রত করেছি।

উপহার-৬ : কওমি অঙ্গনকে মূলধারায় সম্পৃক্ত করা
দেশে হাজার হাজার কওমি শিক্ষার্থী থাকলেও ‘৪৭ এর পর থেকে দেশের রাজনীতিতে নীতিপরায়ণ কওমি ধারা উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছিলো। এই অঙ্গনের শিক্ষার্থীরা নিজেদেরকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন। সমাজ বিচ্ছিন্ন জীবন বেছে নিচ্ছিলেন। সেজন্য ‘৪৭ থেকে ‘৯০ এই দীর্ঘ সময়ের রাজনৈতিক নানা পট-পরিবর্তনে তাদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেই। গোটা ইতিহাসে তাদের কোন আলোচনাই নেই। মানে তারা মূলধারার রাজনীতির বাইরে চলে গিয়েছিলেন। আমরা এখানে কাজ করেছি। কওমি অঙ্গনকে মূলধারায় নিয়ে এসেছি।

উপহার-৭ : আলিয়া মাদরাসায় আমলের ধারা প্রবর্তন করা
ভারতীয় উপমহাদেশে আলিয়া মাদরাসার গৌরবময় অতীত রয়েছে। জাতিকে অনেক বিদগ্ধ আলেম লেখক, গবেষক ও ইসলামী রাজনীতিবিদ উপহার দিয়েছে আলিয়া মাদরাসা। সরকারি ক্ষেত্রে ইসলামী ভাবাপন্ন মানুষদের অন্তর্ভুক্তির সুযোগ করে দিয়েছে আলিয়া মাদরাসা। কিন্তু কালের পরিক্রমায় আলিয়া মাদরাসার ঐতিহ্য নষ্ট হয়েছে, স্বকীয়তা হারিয়েছে। আলিয়ার শিক্ষার্থীরা সমাজের সাথে তাল মেলাতে গিয়ে নিজেদের নিজস্বতা হারিয়েছে এবং আমল-আখলাক বিসর্জন দিয়েছে। ইশা ছাত্র আন্দোলন এখানে কাজ করেছে। আমরা আলিয়া মাদরাসাসমূহের শিক্ষার্থীদের মাঝে তাদের ঐতিহ্যবোধকে জাগ্রত করেছি। তাদের স্বকীয়তা-নিজস্বতা সম্পর্কে সচেতন করেছি। তাদেরকে আমলে উদ্বুদ্ধ করেছি।

উপহার-৮ : কওমি অঙ্গনকে সম-সাময়িক রাষ্ট্র-সমাজ চিন্তায় উদ্বুদ্ধ করা
কওমি অঙ্গনে দীনের খেদমত বলতে মসজিদ-মাদরাসা কেন্দ্রিকতা বেশি প্রাধান্য পেত। তাসাউফ চিন্তায় নিমগ্ন থাকতো। দুনিয়া বিমুখতার বহি:প্রকাশ ঘটতো। নেতৃত্বের আসনকে উপেক্ষা করার মাধ্যমে সমাজ বিচ্ছিন্নতাকে বুজর্গিয়াত আখ্যা দেয়া হতো। রাজনীতি-রাষ্ট্র চিন্তাকে অপচিন্তা মনে করা হতো। ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন এখানে কাজ করেছে। আমরা এই অঙ্গনকে সমসাময়িক রাষ্ট্র, সমাজ-চিন্তায় চালিত করেছি। কওমি অঙ্গনে বাহাস-মুহাসাবার মুল বিষয় ছিলো- মুয়ামালাত-মুআশারাত আর আকিদা-ইবাদত নিয়ে। আমরা সেখানে সমাজ-রাষ্ট্র আলোচনা তৈরি করেছি।

উপহার-৯ : সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিতদেরকে ইসলামে সম্পৃক্ত করা
১৯৬০ এর দশক থেকেই পরিকল্পিতভাবে বাঙালি সমাজ ইসলামবিমুখ করার একটা সচেতন প্রচেষ্টা চলে আসছে। মুসলিম জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে ভারত-পাকিস্তান স্বাধীন হলে অখ- ভারতের চিন্তা নায়কেরা বাঙালি মুসলমানদের মধ্য থেকে ইসলামী চেতনা মুছে ফেলার চক্রান্ত শুরু করে। কারণ, বাংলাদেশের সাথে ভারতের রাষ্ট্রীয় সীমানার যৌক্তিকতাই হলো ইসলামী চেতনা। সেটাকে যদি মুছে ফেলা যায়, তাহলে উভয় বাংলাকে এক করে ফেলা অশুভ নীল নকশা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। সেই পরিকল্পনা থেকে বাংলাদেশের শিক্ষা-সংস্কৃতি থেকে ইসলামকে মুছে দেয়া হয়েছে। দেশের নীতি নির্ধারণ ওদের হাতে থাকার কারণে ওরা সাধারণ শিক্ষাব্যবস্থা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসলামকে মুছে ফেলতে অনেকাংশে সফলও হয়েছে। সেজন্য দেশের সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত শ্রেণি সম্পূর্ণই ইসলামবিমুখ। তারা ভোগবাদি আদর্শমুখী হয়ে যাচ্ছে। এখানে আমরা কাজ করেছি। সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিতদেরকে ইসলামী ইতিহাস-ঐতিহ্য সচেতন করেছি।

উপহার-১০ : বাঙালি সংস্কৃতির সুরক্ষা
পুঁজিবাদি বিশ্বব্যবস্থায় প্রতিটা দেশকে “বাজার” বানানোর একটা প্রবণতা থাকে। এই সময়ে সামরিক দখলদারিত্বের চেয়ে অর্থনৈতিক দখলদারিত্ব বেশি কার্যকর। সেজন্য কোন দেশের বাজার দখল করতে হয়। কোন দেশের বাজার দখল করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হলো সেই দেশের নিজস্ব সভ্যতা ও সংস্কৃতি। বাংলাদেশ ১৬ কোটি মানুষের বিশাল বাজার এবং বিশাল অর্থনৈতিক ক্ষেত্র। এই বাজারকে দখল করতে সকল সাম্রাজ্যবাদি শক্তিগুলোই উন্মুখ। আর সেটা করার জন্য তারা বাঙালির হাজার বছরের সংস্কৃতিকে নষ্ট করে ইসলামবিরোধী ভারতীয় ও পশ্চিমা সংস্কৃতির প্রচলন করার চেষ্টা করেছে। একই সাথে ভারতের আধিপত্য থেকে রক্ষার একমাত্র কবজ আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি। সেজন্য দেশে ভারতীয় হিন্দুয়ানি সংস্কৃতি ও পশ্চিমা সংস্কৃতি প্রচলনের প্রচেষ্টা বিদ্যমান। আমরা এটা প্রতিরোধে কাজ করেছি।

উপহার-১১ : ভোগবাদি মানসিকতা থেকে বের করে মানবিক করে তোলা
বর্তমান যুব সমাজ পুরোপুরি আত্মকেন্দ্রিক। নিজের ক্যারিয়ারের জন্য তারা সব কিছু করতে পারে। প্রচ- স্বার্থপর মানসিকতা। দেশ, সমাজ-রাষ্ট্র, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সবকিছুই তুচ্ছ সংকীর্ণ ক্যারিয়ার চিন্তা। ভোগবাদি এই মানসিকতা থেকে যুব সমাজকে বের করে আনতে আমরা কাজ করেছি।
(চলবে)

লেখক
কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি

সম্পর্কিত কার্যক্রম

সম্পর্কিত কার্যক্রম

সদস্য ফরম

নিচে তথ্যগুলো দিয়ে পাঠিয়ে দিন